বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে অংশীদার হতে আগ্রহী ভারত

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সপ্তম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে তিনি সাক্ষাৎ করেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু জানান, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত কর্মসূচির অংশীদার হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠকের শুরুতে ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের অকাল মৃত্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গভীর শোক প্রকাশ করেন। এছাড়াও ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয় বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অন্যদিকে তৃতীয় বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।

দেশের সীমান্তে মাদকসহ সব চোরাচালান বন্ধে ভারত সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে মাদক চোরাচালান বন্ধসহ একটি নিরাপদ ও কার্যকর সীমান্ত প্রতিষ্ঠায় দু’দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারত সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানান ভারত সরকার ইতোমধ্যে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আলোচনা করেছে এবং ভারত সরকার মনে করে এ সমস্যার দ্রুত সমাধান প্রয়োজন। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।

বৈঠকে এ এলাকার আঞ্চলিক শান্তি ও উন্নয়নে বিমসটেক কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে মোদী মনে করেন।

সাক্ষাতে আরও উপস্থিত ছিলেন- ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষাসেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, আইজিপি ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারী।