ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে দেশে চলমান সংকটের মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের মালয়েশিয়া সফরে নাখোশ নন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বরং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপে প্রধানমন্ত্রী সন্তুষ্ট এবং সার্বিক বিষয়ে তিনি অবগত আছেন বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি সব জানি। তুমি কাজ করে যাও।’
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মহলের ক্ষোভ রয়েছে। তাদেরই কেউ কেউ এহেন ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে বিদেশ সফরের কারণে তার মন্ত্রীত্ব চলে যাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন।
কেউ কেউ ধারণা করছিলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, এ ধরনের কিছুই হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তারা আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মালয়েশিয়া সফরে মোটেই নাখোশ হননি। বরং তিনি সমালোচকদের সমালোচনায় কষ্ট না পেয়ে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য মন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ব্যক্তি জানান, রাজধানীসহ সারাদেশে চলমান ডেঙ্গুর প্রকোপের বিরূপ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সপরিবারে মালয়েশিয়ায় ব্যক্তিগত সফর নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এ কারণে সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি মূলত তার অসুস্থ্য স্ত্রীর বিশেষ রোগের ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে সেখানে গিয়েছিলেন।
তবে বিভিন্ন মহলে বলা হয়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার মেয়ের পড়াশোনার খোঁজ-খবর নিতে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন সূত্রে আরও জানা যায়, তার সফরকে কেন্দ্র করে পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নানা সমালোচনার কারণে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একটু বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন। মন খারাপ থাকায় তিনি কাজে ঠিক মতো মনোনিবেশ করতে পারছিলেন না।
প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতির মধ্যেই ব্যক্তিগত ভ্রমণে গত ২৭ জুলাই মালয়েশিয়া যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ৪ আগস্ট তার দেশে ফেরার কথা ছিল। তবে দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বিদেশ ভ্রমণের কারণে সমালোচনার মুখে পড়ায় বুধবার রাত ১টার দিকে তিনি দেশে ফেরেন।