দুধ নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দুধের মধ্যে ভারী ক্ষতিকর ধাতুর অস্তিতের যে খবর সব জায়গায় ছেয়ে গেছে তা সম্পূর্ণ সত্য নয়। যারা এ তথ্য প্রকাশ করেছে তাদের গবেষণার সে সক্ষমতা নেই।
বুধবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) কর্তৃক দুধে এন্টিবায়োটিক, সালফা ড্রাগ ও ভারী ধাতুর উপস্থিতি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএআরসি মিল্ক ভিটা, আড়ং, ফার্ম ফ্রেশ, ঈগলু, আরডি, সাভার ডেইরি ও প্রাণ এই ৮টি দুধের নমুনা সংগ্রহ করে যে গবেষণা করেছে তাতে মানুষের জন্য ক্ষতিকর কোনো পদার্থ পাওয়া যায়নি।
শুধু তাই নয়, একই নমুনা ভারতের চেন্নাইতে এসজিএস আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়, তাদের ফলাফল ও বিএআরসি’র ফলাফল একই। পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত এই ৮টি দুধে মানুষের জন্য ক্ষতিকর কোনো পদার্থ নেই।
ড. রাজ্জাক বলেন, পরীক্ষাগারে এসব দুধ বিশ্লেষণ করে দেখা যায় কোনো দুধেই কোনো প্রকার ভারী ধাতু যেমন লিড ও ক্রোমিয়ামের অবশিষ্টাংশ পাওয়া যায়নি। কোনো প্রকার সালফা ড্রাগ এর অবশিষ্টাংশ পাওয়া যায়নি।
শুধু মাত্র একটি নমুনায় ক্লোরামফেনিকোল’র উপস্থিতি পাওয়া গেছে প্রতি কেজিতে ০.০৬ মাইক্রোগ্রাম। কারও কারও মতে ০.১ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য। এই গবেষণালব্ধ ফলাফল বিশ্লেষণে নিশ্চিতভাবে বলা যায় দেশীয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উৎপাদিত বাজারজাতকৃত দুধ পানে কোন প্রকার স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাকি যে ছোট বড় দুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের দুধের তেমন ক্ষতিকর কিছু নাও থাকতে পারে, তবে পর্যায়ক্রমে সব দুধের নমুনা পরীক্ষা করে এর ফলাফল সবাইকে জানানো হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএআরসি হচ্ছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানের এপেক্স বডি। খাদ্যসহ যেকোনো প্রকার আতংক বা বিভ্রান্তি এড়ানোর জন্য বিভিন্ন পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে আর্ন্তজাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য ও বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে শিগগিরই দেশে এক্রিডেটেড ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে বলে তিনি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, বিএআরসি’র চেয়ারম্যান কবির ইকরামুল হকসহ মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রাণী সম্পদ আধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।