Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ মঙ্গলবার, আগষ্ট ২০২৫ | ৪ ভাদ্র ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

পাবনায় পদ্মা-যমুনার ভাঙনে হুমকিতে জাতীয় গ্রিডের সঞ্চালন টাওয়ার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০১৯, ১০:১৫ AM
আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৯, ১০:১৫ AM

bdmorning Image Preview


পাবনায় পদ্মা-যমুনা নদীর ভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। গত তিন সপ্তাহে জেলার বেড়া ও সুজানগর উপজেলার কয়েক হাজার মানুষের বসতভিটা, ফসলি জমি ও পাকা সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে বেড়া উপজেলার নটাখোলা জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সঞ্চালন টাওয়ারও। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে সারা বাংলাদেশ পড়তে পারে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মধ্যে।

সরেজমিনে বেড়া উপজেলার নটাখোলা খানপুরা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২০০ মিটার পাকা সড়ক যমুনার পানির তোড়ে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে বিলীন হয়েছে খানপুরা মধ্যপড়া কবরস্থানের অর্ধেকেরও বেশি অংশ। পানি উন্নয়ন বোর্ড বালির বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করলেও তাতে আশ্বস্ত হতে পারছে না স্থানীয়রা।

এদিকে, মানিকগঞ্জ জেলা হয়ে পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার যমুনা নদীর উপর দিয়ে আসা জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ লাইনের সংরক্ষিত এলাকা আজ নদী ভাঙন কবলের মুখে। এই বিদ্যুত লাইন কুষ্টিয়া ভেড়ামারা বিদ্যুৎ স্টেশন হয়ে পাকশী থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত বিদ্যুৎ লাইন চলে গেছে।

পাবনা বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানাধীন খানপুরা মধ্যপাড়ায় অবস্থিত বৈদ্যুতিক তারের টানার স্টেশন যা স্থানীয়ভাবে আংকার টাওয়ার নামে পরিচিত। এই জাতীয় সম্পদ স্থাপনা আজ নদী ভাঙনের কবলের সম্মুখীন। এক সময়ে যমুনা নদী থেকে এই আংকার টাওয়ারে অবস্থান ছিলো দুটি গ্রাম পরে। এখন নদী ভাঙনে হুমকির সম্মুখে আংকার টাওয়ার স্থাপনা। নদী থেকে ২০০ মিটার দূরে এই স্থাপনা চলে আসায় আতঙ্কিত হয়ে পেড়েছে সাধারণ মানুষ।

শুধু আংকার টাওয়ারই নয় এই খানপুরা ইউনিয়নের স্কুল, কলেজ মাদ্রাসা, মসজিদ, করস্থানসহ আবাসিক স্থাপনা আজ নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে।জানা যায়, এই বিদ্যুৎ লাইনের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবারাহ হয়ে থাকে। জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ আদান-প্রদান হয়ে থাকে এই লাইনের মধ্য দিয়ে। আংকারা টাওয়ার যমুনা নদীর ভেতর দিয়ে আসা ১১টি সঞ্চলন টাওয়ারকে নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে আগ্রাসী যমুনা থেকে মাত্র ৩০০-৪০০ মিটার দূরত্বে রয়েছে। টাওয়ারটি ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হলে সারাদেশে মারাত্মক বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটতে পারে।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়া উপ-বিভাগীয় অঞ্চলের নির্বাহী পরিচালক আব্দুল হামিদ জানান, উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে পদ্মা-যমুনায় একই সঙ্গে পানি বেড়েছে। এই পানি নদীর দুই তীরে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে বালির বস্তা ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করছে। গত তিন সপ্তাহে বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৩০ হাজার জিও ব্যাগ নদী তীরে ফেলা হয়েছে। এ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।

পাবনা জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ জানান, ভাঙন প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সমন্বিতভাবে কাজ করছে। বিদ্যুৎ সঞ্চালন টাওয়ার রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Bootstrap Image Preview