Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শুক্রবার, জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

গাইবান্ধায় বন্যার পানি কমে গেলেও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ৬৩ হাজার বাড়ি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০১৯, ১২:৩৭ PM
আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৯, ১২:৩৭ PM

bdmorning Image Preview


উজানের ঢলে ভয়াবহ বন্যা আর ভাঙনে গাইবান্ধায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬৩ হাজার বাড়ি ঘর। পানি নেমে গেলেও স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ঘরে উঠতে পারছেন না গাইবান্ধার বানভাসি মানুষ। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি সচেতন মহলের।

বাঁধ ভেঙ্গে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে তিল তিল করে গড়ে তোলা সাজানো সংসার। পানিতে ডুবে আছে কষ্টে কেনা ভিটে টুকু। তিন সন্তান নিয়ে দাঁড়াবার জায়গা নেই। বন্যায় বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সদরের গোদারহাট গ্রামের লিপি বেগমের মতো চাল চুলোহারা অনেকেই দিশেহারা।

বানের পানি নেমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর মেরামত ও পুনঃনির্মাণ করতে না পারলে বাঁধেই খুঁটি গাড়তে হবে বানভাসিদের। ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে দরকার সরকারের জরুরি উদ্যোগ।

গাইবান্ধা যুব নাগরিক কমিটির আহবায়ক জিয়াউল হক জনি বলেন, ভাঙন ও বন্যার পরবর্তী পুনর্বাসন ব্যবস্থা যাতে দ্রুত ও সঠিকভাবে হয় আমি সে দাবি জানাচ্ছি।

জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্তারা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। পানি যাওয়ার পরপরই নানা পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া।

অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, বন্যায় যারা বাড়ি হারিয়েছেন তাদেরকে ১ লক্ষ টাকার মধ্যে বাড়ি তৈরি করে দেয়া হবে। একই সাথে অনেকগুলো আশ্রয়ণ ও গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে ৩৬টি পয়েন্টে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ধ্বসে প্লাবিত হয় ৪২৪টি গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়ে ৬ লাখ মানুষ। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

Bootstrap Image Preview