বন্যাজনিত কারণে দেশের ১৪ জেলায় এ পর্যন্ত ৭৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।
রবিবার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতি ও ত্রাণ কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
৬ থেকে ৭ জুলাই সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘১০ জুলাই উজান থেকে নেমে আসা পানি ও দেশের ভেতরে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ক্রমান্বয়ে ২৮ জেলার বিভিন্ন এলাকা বন্যাকবলিত হয়।
বন্যা দেখা দেয়া জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলবীবাজার, নেত্রকোণা, শেরপুর, টাঙ্গাইল, জামালপুর, বগুড়া, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর।
তিনি বলেন, ২৮ জেলা বন্যা কবলিত হলেও ১৪ জেলায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। তবে বন্যার পূর্বাভাসের পর বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয় বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
এনামুর রহমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসকদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে বন্যা মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। পানিবাহিত রোগ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে মানবিক সহযোগিতা পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করা।’
এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয়গ্রহণকারীদের যেন কোনো সমস্যা না হয় সে বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয় বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘গত ১ জুলাই স্বাভাবিক মজুদের অতিরিক্ত হিসেবে দেশের ২৮ জেলায় ৫৯ হাজার কার্টুন শুকনা খাবারের বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরপর গত ৭ জুলাই দুর্যোগ মোকাবেলায় আপদকালীন মজুদ হিসেবে বরাদ্দের অতিরিক্ত আরও ১০ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন জিআর চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।