জামালপুরের সরিষাবাড়িতে বন্যার পানিতে ডুবে ৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উত্তরের কয়েকটি নদীর পানি বাড়ায় সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম ও বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন পানিবন্দী মানুষ।
গত কয়েকদিনে সিরাজগঞ্জে পানি কমলেও নতুন করে যমুনা নদীর পানি বাড়ায় আবারো পানিতে ভাসছে ৫ উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ।
রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে থাকায় চলাচলে দুর্ভোগ চরমে তাদের। সেই সাথে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটের পাশাপাশি আক্রন্ত হচ্ছে পানিবাহিত রোগে।
কুড়িগ্রামে বন্যার ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো উন্নতি হয়নি পরিস্থিতির। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তা নদীর পানি বাড়ায় চরম মানবিক বিপর্যের মুখে ৯ উপজেলার সাড় নয় লাখ পানবন্দী মানুষ। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে দিন কাটছে তাদের।
বগুড়ায় বাঙ্গালী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনটে নতুন করে পানি বেড়ে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে আছেন বন্যার্তরা।
শরীয়তপুরে পানি কমলেও এখানো পানিবন্দী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের মানুষ। কিছু কিছু এলাকায় বাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করায় পানিবাহিত রোগে আক্রান্তের পাশাপাশি স্পষ্ট হচ্ছে সড়কের ক্ষয়ক্ষতি।
শেরপুরে কমতে শুরু করেছে পানি। তবে পানিতে তলিয়ে থাকায় সাতদিন ধরে জেলার সাথে জামালপুর, টাঙ্গাইল ও উত্তরবঙ্গের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করেছে।