Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ রবিবার, জুলাই ২০২৫ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

কলেজে ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে পেটালেন শিক্ষক!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০১৯, ০৫:৪৫ PM
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৯, ০৫:৪৫ PM

bdmorning Image Preview


কলেজ ক্যাম্পাসে ঝালমুড়ি বিক্রি করায় ফজলু মল্লিক নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে আহত করেছেন এক শিক্ষক। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষকের নাম আহ্সান কবীর রানা। তিনি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। এর আগে তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে নিরপরাধ ব্যক্তিকে পিটিয়ে আহতের ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেছেন। ঘটনার পর কলেজ ক্যাম্পাসে দেখা যায় ঝালমুড়ি বিক্রেতা ফজলু মল্লিকের পা থেকে ঘাড় পর্যন্ত সারা জায়গায় লাঠির আঘাতের চিহ্ন, রক্ত ঝরছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে জাহিদ ও সালাম নামের দুই কর্মচারী এসে ঝালমুড়ি বিক্রেতা ফজলু মামাকে অফিসে ডেকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর দেখি ফজলু মামা কাঁদতে কাঁদতে অফিস থেকে বেরিয়ে আসছে। পরে দেখি তার পুরো শরীরে লাঠির আঘাতের চিহ্ন। স্যার যেভাবে ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে পিটিয়েছেন এভাবে একজন চোরকেও মানুষ পেটায় না। এই ফজলু মামা সারাদিন ঝালমুড়ি বিক্রি করে আর সন্ধ্যায় সব কাগজ কুড়িয়ে পুড়িয়ে ফেলে।

ফজলু মল্লিক বলেন, ‘আমি ৮ বছর ক্যাম্পাসে ঝালমুড়ি বিক্রয় করি। প্রতিদিনের মতো আজও ঝালমুড়ি বিক্রি করতে এসেছিলাম। হঠাৎ রানা স্যার আমাকে ডেকে তার রুমে নিয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে। সে সময় আমাকে মারছেন কেন জিজ্ঞাসা করায় আরও বেশি মারধর করে রানা স্যার।’

ঘটনার পর ফজলু মল্লিকের পরিবার চিকিৎসার জন্য তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঝালমুড়ি বিক্রেতা ফজলু মল্লিক কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়া এলাকার আকবর মল্লিকের ছেলে।

উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আহ্সান কবীর রানা বলেন, ‘আমরা ক্যাম্পাস এরিয়া বহিরাগতমুক্ত করার চেষ্টা করছি। এতে কারও সঙ্গে একটু আধটু ধাক্কাধাক্কি হতেই পারে।’

Bootstrap Image Preview