Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ সোমবার, জুলাই ২০২৫ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

উজানের ঢলে পানিবন্দি কুড়িগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০১৯, ১২:৪৪ PM
আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৯, ১২:৪৪ PM

bdmorning Image Preview


উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় চর ও দ্বীপ চরসহ নদী তীরবর্তী নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে সাতটি উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানিয়েছে, আজ শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া তিস্তা নদীর পানি বাড়লেও কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বেড়ে কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের নদীগুলোর উৎস স্থলের ভারতীয় অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় উজানের ঢলে আগামী দুই তিনদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার আশঙ্কা রয়েছে। এতে করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।’

এদিকে জানা গেছে, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কুড়িগ্রাম সদরের চর যাত্রাপুর, পোড়ারচর, কালির আলগাসহ যাত্রাপুর ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চিলমারীর রমনা ইউনিয়নের বাসন্তিপাড়া, মাঝিপাড়া, রায়পাড়া, টোন গ্রাম, উত্তর রমনা, খেউনি পাড়াসহ অন্তত ১৫টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে সাতটি ওয়ার্ডের সব গ্রাম। এসব গ্রামের প্রায় প্রতিটি ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হাফিজুর রহমান জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতিটি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ত্রাণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে, তালিকা পেলেই বরাদ্দ দেওয়া হবে।

Bootstrap Image Preview