Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শুক্রবার, জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

অরিত্রীর আত্মহত্যা: অধ্যক্ষ নাজনীন ও শাখা প্রধান জিন্নাতের বিরুদ্ধে চার্জগঠন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ জুলাই ২০১৯, ০২:৩৯ PM
আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৯, ০২:৩৯ PM

bdmorning Image Preview


ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারী (১৪) আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখার প্রধান জিন্নাত আক্তারের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. রবিউল আলম এ চার্জগঠনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামিরা অভিযোগ অস্বীকার করে বিচার প্রার্থনা করায় বিচারক আগামী ২৭ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।

দুদকের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন কাজল আসামিদের পক্ষে অব্যাহতির আবেদন করে শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক তা নাকচ করেন।

আসামিরা জামিনে রয়েছেন। তারা গত ১৪ জানুয়ারি সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। মামলার অপর আসামি শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে চার্জশিটে অব্যাহতি দেওয়া হয়। যিনি গত ৫ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হয়ে ৪ দিন কারাভোগের পর জামিন পান।

এর আগে গত ২৫ মার্চ মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার চার্জশিটে বলা হয়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীর সঙ্গে মোবাইল রাখা নিষিদ্ধ থাকলেও ২০১৮ সালের ২ ডিনেম্বর অরিত্রী (১৪) মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করেন। যা পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে হলের শিক্ষিকা আফসানা আমতু রাব্বী অরিত্রীর নিকট থেকে নিয়ে নেয় এবং পরদিন পিতা-মাতাকেসহ স্কুলে আসতে বলে। সে অনুযায়ী, অরিত্রী পরদিন সকাল ১১টার দিকে স্কুলে এসে মা-বাবাকে নিয়ে শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে কিছু সময় বসে থাকার পর তিনি অরিত্রী ও তার মা-বাবাকে আসামি জিন্নাত আক্তারের কাছে নিয়ে যান। দেখেই তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং অরিত্রীর মা-বাবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে মেয়েকে টিসি দিয়ে দিবেন বলে জানান।

তখন মা-বাবা অরিত্রীকে নিয়ে আসামি নাজনীন ফেরদৌসের রুমে যান। সেখানে অরিত্রী আসামী নাজনীন ফেরদৌসের পা ধরে ক্ষমা প্রার্থণা করেন। সঙ্গে তার মা-বাবাও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ক্ষমা প্রার্থণা করেন। কিন্তু নাজনীন ফেরদৌস তাদের কথাবার্তা ও ক্ষমা প্রার্থণায় কর্ণপাত না করে তিনিও টিসি দিয়ে দিবেন বলে জানান। এতে অরিত্রীর মা-বাবার সঙ্গে নাজনীনের কথাকাটাকাটি হওয়ার সময় অরিত্রী বাসায় চলে যায় এবং আসামি নাজনীন ও জিন্নাত আক্তারদের নির্মম আচরণে কারণে সিলিং ফ্যানের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করে। আসামিদের নির্দয় ব্যবহার এবং অশিক্ষিত সুলভ আচরণই অরিত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে।

উল্লেখ্য, অরিত্রী অধিকারী (১৪) নাবালক (শিশু) হওয়ায় মামলার চার্জশিটটি দণ্ডবিধির ৩০৫ ধারায় দাখিল করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ওই ধারায় কোনো শিশুকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১০ বছর কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।

Bootstrap Image Preview