Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২২ শুক্রবার, আগষ্ট ২০২৫ | ৬ ভাদ্র ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে নুসরাতের ছোট ভাই রাশেদুলের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ জুলাই ২০১৯, ০১:২৫ PM
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৯, ০১:২৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


আলোচিত মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সোমবার (৮ জুলাই) ৮ম দিনে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে নুসরাতের ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হানের সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। তার সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হলে দোকানদার জহিরুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা অনুষ্ঠিত হবে। 

রবিবার (৭ জুলাই) ৭ম দিনের তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। সরকারি ছুটি ছাড়া প্রতিদিনই এ মামলার সাক্ষী কার্যক্রম চলছে।

এর আগে গতকাল কেরোসিন বিক্রেতা লোকমান হোসেন লিটন, বোরকা দোকানদার জসিম উদ্দিন ও দোকানের কর্মচারী হেলাল উদ্দিন ফরহাদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। এ নিয়ে হত্যা মামলার ৮ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এম. শাহজাহান সাজু বলেন, সকাল ১১টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় মামলার ১৬ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

আজ সোমবার ৮ম দিনে আদালতে নুসরাতের ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হানের সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। এ পর্যন্ত ৮ জনের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে। আজ নুসরাতের ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান ও দোকানদার জহিরুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছে আদালত।

এর আগে গত ২৭ জুন মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। পরে রাফির বান্ধবী নিশাত সুলতানা ও সহপাঠি নাসরিন সুলতানা, মাদ্রাসার পিয়ন নুরুল আমিন নৈশ প্রহরী মো. মোস্তফা, কেরোসিন বিক্রেতা লোকমান হোসেন লিটন, বোরকা দোকানদার জসিম উদ্দিন ও দোকানের কর্মচারী হেলাল উদ্দিন ফরহাদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষ হয়।

এর আগে গত ২৭ জুন অভিযোগ গঠনের পর পরই ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদীপক্ষের আটজন সাক্ষীকে আদালতে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য উপস্থাপন করা হয়।

২০ জুন সাক্ষ্য গ্রহণের এই আদেশ দেন আদালত। এ মামলার চার্জশিট জমা দেওয়ার আগে সাতজন সাক্ষী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গত ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষা কেন্দ্রে গেলে নুসরাতকে ছাদে ডেকে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতহানির মামলা তুলে না নেওয়ায় তাকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে; যা মৃত্যুশয্যায় নুসরাত বলে গেছেন। ১০ এপ্রিল ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুসরাতের মৃত্যু হয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ফেনীর পরিদর্শক মো. শাহ আলম আদালতে মোট ১৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন।

Bootstrap Image Preview