রাজধানীর ওয়ারীতে সাত বছরের শিশু সামিয়া আফরিন সায়মার নিখোঁজের পর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরীসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার সকালে শিশুটির বাবা আব্দুস সালাম অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে ওয়ারি থানায় মামলা করেছেন।
পুলিশের ওয়ারী জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে।
এর আগে শুক্রবার রাত পৌনে আটটার দিকে ওয়ারীর বনগ্রাম মসজিদ এলাকার নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সায়মা সিলভারডেল স্কুলের ছাত্রী ছিল। তার বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরে ব্যবসা করেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পুরান ঢাকার নবাবপুরের ব্যবসায়ী আবদুস সালাম ওয়ারী থানার ১৩৯ বনগ্রামের বাড়ির ৬ তলায় নিজের ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে থাকেন।
শুক্রবার(৫ জুলাই) মাগরিবের নামাজের সময় সামিয়া বাসা থেকে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত সাড়ে ৮টায় একই বাড়ির ৮ তলার একটি খালি ফ্ল্যাটে সামিয়ার লাশ পাওয়া যায়।
শিশু সামিয়ার গলায় দাগ ছিল। এছাড়া ঠোঁটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
পুলিশের ধারণা, মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে।
নিহত সামিয়ার বাবা আবদুস সালাম বলেন, মাগরিবের আজানের সময় আমি নামাজ পড়তে মসজিদে যাই। মসজিদ থেকে ফেরার সময় সন্ধ্যার নাশতা কিনে বাসায় আসি। বাসায় এসে দেখি সামিয়া নেই। আমি ও আমার স্ত্রী তাকে খুঁজতে শুরু করি। পরে ৮ তলার রান্না ঘরে তার লাশ পাওয়া যায়।