মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দিনাজপুরের বিরামপুরের জোতবানী ইউনিয়নের জোতবানী গ্রাম থেকে মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাতে সবুজ ইসলাম নামের একজনকে(২৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
বিরামপুর থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, ওই ছাত্রী সবুজের প্রতিবেশী। গত সোমবার বাড়িতে কেউ না থাকায় ওই দিন সকাল ১০টার দিকে মাদ্রাসার যাওয়ার পথে সবুজ ওই ছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে নেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর ওই ছাত্রীর মা সবুজের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তার মেয়ের চিৎকার শুনতে পান। পরে তিনি তার দেবরকে নিয়ে সবুজের বাড়িতে গেলে সে দরজা খুলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
ওসি মনিরুজ্জামান আরও জানান, ঘটনার পর জোতবানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি মীমাংসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাত্রীর মা-বাবাকে মামলা থেকে বিরত রাখেন।পরে পুলিশ ঘটনাটি জানতে পারলে ওই ছাত্রীর বাবা মঙ্গলবার বিকালে সবুজকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন। মামলার পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের হাকিমপুর মোড় থেকে সবুজকে গ্রেফতার করে।
ওসি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সবুজ ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জোতবানী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ভিকটিমের পরিবার আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের থানা পুলিশের কাছে যেতে বলেছি।
মীমাংসা করে দেওয়ার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনা তো আর মীমাংসা করে দিতে পারি না।