লালমনিরহাটে ধরলার পানি কমলেও বেড়েছে ভাঙনের প্রকোপ। গত দু’দিনে এ নদীর ভাঙনে অন্তত ১৩টি ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে আরও ৩৪ থেকে ৪০টি পরিবার। গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ধরলার পানি বাড়লেও আজ শুক্রবার থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। এদিকে পানি কমার সাথে সাথে বেড়েছে ভাঙনের তীব্রতা।
নদী ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নদীপাড়ের মানুষ। ইতোমধ্যে চর এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে গেছে। ভাঙনের শিকার ওসমান আলী জানান, চারবার নদী ভাঙার পর ১০ বছর থেকে এই বাধে বসবাস করে আসছিলেন কিন্তু আকস্মিক বন্যায় ঘরবাড়ি বিলীন হওয়ায় তিনি এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন।
জেলার সদর উপজেলার মহিষখোচা ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভাঙন কবলিতদের মাঝে এখনও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। তারা ধরলার বাধে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া তার ইউনিয়নের আরো ৩০-৪০টি বসতবাড়ি ভাঙনের মুখে রয়েছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, ধরলার ডানতীর বাধে হঠাৎ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ১২-১৩টি বাড়ি ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। তবে ভাঙন ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে ধরলার স্রোতে গত বুধবার সন্ধ্যায় কুলাঘাট ইউপির ওয়াপদা বাজার এলাকার ১৩০ ফিট পাকা সড়ক নদী গর্ভে চলে গেলেও সড়ক বিভাগ দু’দিনেও সড়কটি মেরামতের তেমন অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।
সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় চারটি গ্রামের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। গ্রামগুলো হলো চর শিবের কুঠি, ধর্মপাল ও বোয়ালমারী ও চর খারুয়া। সড়কটি দিয়ে এই ৪টি গ্রামের মানুষ কুলাঘাট বাজার ও লালমনিরহাট জেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করত। এ ব্যাপারে সওজের লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী নুরায়েন বলেন, সড়কটি মেরামতে অনেক শ্রমিক প্রয়োজন। কিন্তু শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই কাজে বিলম্ব হচ্ছে। এছাড়া এ কাজ করতে কয়েক দিন সময় লাগবে।