কৃষি শ্রমিকের বড় অংশ বিভিন্ন স্থানান্তরিত হয়ে অন্য পেশায় নিয়োজিত হয়েছে বলে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, শ্রমিক সংকট ও কৃষি উৎপাদনশীলতা ধরে রাখতে হলে কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে কৃষকবৃন্দ সমবায়ভিত্তিক কৃষিযন্ত্র ক্রয় করতে পারে।
রবিবার (১৬ জুন) রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সভাকক্ষে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, এসব যন্ত্র সম্পর্কে কৃষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে হবে। বিদেশি যন্ত্র আনা এবং সেসব যন্ত্রের খুচরা যন্ত্রাংশ আমাদের দেশে তৈরি করা যায় কি না দেখতে হবে। শুধু দেশে উৎপন্ন যন্ত্র দিয়ে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ সম্ভব না।
মন্ত্রী বলেন, ‘উদ্ভাবন বা নতুন আবিষ্কার এমন হতে হবে যেন তা ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষক সহজে ব্যবহার করতে পারে। এ ছাড়া যে দেশ থেকেই যন্ত্রপাতি আনা হোক না কেন তার বিক্রয়োত্তর সেবা, খুচরা যন্ত্রাংশর দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রামের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন কৃষির উন্নয়ন। কৃষিভিত্তিক শিল্পের উন্নয়ন জরুরি। বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। দেশে এখন অধিকাংশ জমিতে লাঙ্গল-জোয়াল ছেড়ে যন্ত্রের মাধমে চাষ হচ্ছে।
আমরা অচিরেই শতভাগ যান্ত্রিকীকরণে যাচ্ছি। এজন্য আপনাদের সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব মো. নাসিরুজ্জামান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মীর নুরুল আলম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড.আবুল কালাম আযাদ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান এবং কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২০ জন প্রতিনিধি।