পরিবহন মালিক পক্ষের প্রতি আহবান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, কোনো মাদকাসক্তকে গাড়িতে চাকরি দিবেন না। ড্রাইভার না থাকলে হেলপারকে গাড়ি চালাতে দিবেন না। ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সকলকে সচেতন করুন।
মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে আয়োজিত বাস মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ডিএমপির মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেন ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেছেন, ‘ঈদ এলে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রবণতা দেখা যায়। অতিরিক্ত ভাড়া নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এ সময় বাস মালিকদের উদ্দেশে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঈদ ও ঈদ পরবর্তী সময়ে সড়ক পথে দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়ির চালককে দায়িত্বশীল হয়ে গাড়ি চালাতে হবে। বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস ব্যতীত কোন গাড়ি রাস্তায় চলতে পারবে না।
গাড়ির মালিক পক্ষ কোনো মাদকাসক্ত ড্রাইভারের হাতে গাড়ি স্টিয়ারিং দিবেন না। সেই সঙ্গে চালক, হেলপার বা পরিবহন সেক্টরের কাউকে মাদকাসক্ত বলে সন্দেহ হলে পুলিশের সহায়তায় ডোপ টেস্ট করান।
ঈদের নিরাপত্তার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঈদের আর বেশিদিন বাকি নেই, ঈদ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর পুলিশ নগরীর নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। ঈদে যানজট ও জনজট সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পুলিশ, পরিবহন মালিক-শ্রমিক, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, জনসাধারণ ও যাত্রীসহ প্রত্যেকের নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব রয়েছে। ঈদে সড়কে গাড়ির চাপ বেশি থাকায় ঢাকার বাহির পথের মুখ যানজটমুক্ত রাখতে সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘টার্মিনালে গাড়িতে যাত্রী উঠানোর পর নির্ধারিত হলুদ দাগ ক্রস করলে গাড়ি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। টার্মিনাল থেকে গাড়ি ছাড়ার পূর্বে বাস মালিক-শ্রমিক ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি ড্রাইভারের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস চেক করে গাড়ি রাস্তা নামতে দিবেন। কোনো অবস্থায় বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস ব্যতীত গাড়ি রাস্তায় চলতে দেওয়া হবে না।
চালকের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গাড়ির চালকেরা সুযোগ পেলে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালান, মোবাইলে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালান। গাড়ি চালানো অবস্থায় এমনটি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।