Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১০ রবিবার, আগষ্ট ২০২৫ | ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

হালদায় তিন ঘণ্টায় ৮ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬ মে ২০১৯, ০৮:২১ PM
আপডেট: ২৬ মে ২০১৯, ০৮:২২ PM

bdmorning Image Preview


উপমহাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মা মাছ। অন্যদিকে, মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানে প্রায় ৮ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ করেছেন সংগ্রহকারীরা।

সংগৃহীত এসব ডিম থেকে রেণু ফুটিয়ে সেখান থেকে ৮০ কোটি কার্প জাতীয় মাছের পোনা উৎপাদন হবে। তবে ১০ থেকে ১২ শতাংশ মাছের পোনা নষ্ট হবার সম্ভাবননা থাকে। সেই হিসেবে ৭০ কোটি মাছের পোনা উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন মৎস্য অধিদপ্তর।

হাটহাজারী উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম জানান, হালদা নদী থেকে সংগ্রহ করা ৮ হাজার কেজি ডিম সরকারি ৪টি হ্যাচারি ও সংগ্রহকারীদের ব্যবস্থাপনায় বেসরকারি ১৭৯ টি কুয়াতে রাখা হবে তিন থেকে চারদিন। নিয়মানুযায়ি সেখানে প্রতি ৪০ কেজি ডিম থেকে ১ কেজি রেনু উৎপাদন করা হবে। সে হিসেবে ৮ হাজার কেজি ডিম থেকে প্রায় ২’শ কেজি রেণু উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে নির্ধারিত হ্যাচারি ও কুয়াতে রেখে ডিম থেকে রেণু ফুটানোর পর নিয়ে যাওয়া হবে নার্সাারি পুকুরে। ডিম সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে এসব রেণু কিনে নিবে পোনা ব্যবসায়িরা। প্রতি কেজি রেণু ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হবে বলে আশা করছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।

প্রতিকেজি রেণু থেকে কমপক্ষে ৪ লাখ মাছের পোনা উৎপাদন করা সম্ভব হবে উল্লেখ করে জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘দু’শ কেজি রেণু থেকে এবার ৮০ কোটি কার্প জাতীয় মাছের উৎপাদন হবে। তবে সেখান থেকে ১০ থেকে ১২ শতাংশ নষ্ট হলেও ৭০ কোটি কার্প জাতীয় মাছের পোনা পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।’

শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মিঠাপানির প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে কার্পজাতীয় (রুই, কাতল, মৃগেল ও কালবাউশ) মা মাছের ডিমের দেখা পান সংগ্রহকারীরা। এর আগে সকাল ৯টায় ‘নমুনা ডিম’ সংগ্রহ করা হয়। তবে পরিমাণে আগের বছরের তুলনায় অনেক কম বলে জানিয়েছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।
হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপের কারনে হালদার মা-মাছ রক্ষা ও বেশি ডিম সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন।

হালদা নদীতে নিয়মিত মনিটরিং করা হয়- উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বিঘ্নভাবে মা মাছ যাতে চলাচল করতে পারে সেজন্য ড্রেজার দিয়ে হালদা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ, অবৈধ জাল ধ্বংস ও ইঞ্জিন চালিত নৌকা বন্ধ করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview