ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারি ও কার্গো ওয়েলফেয়ার ইউনিয়নের ডাকা চারদিনের ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে আজ বুধবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম।
ডিজিটাল পদ্ধতি চালুর কারণে আমদানি-রফতানিতে ধ্বস নামায় ভারতের সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারি ও কার্গোওয়েল ফেয়ার ইউনিয়ন মঙ্গলবার (২১ মে) থেকে এ ধর্মঘটের ডাক দেয়। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ ব্যসায়ীরা।
ভোমরা সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ জানান, চলতি সপ্তাহে ভারতীয় কাস্টমসের নির্দেশে ঘোজাডাঙ্গা শুল্ক স্টেশনে অনলাইনে (ডিজিটাল পদ্ধতিতে) দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়। জনবল কম ও অদক্ষ টেকনিশিয়ান দ্বারা অনলাইনে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করায় প্রচুর সময়ক্ষেপণের কারণে ভোমরা ও ঘোজাডাঙ্গা বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম হঠাৎ ৭০ ভাগ হ্রাস পায়।
তারা জানান, আগে যেখানে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪শ' পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরের প্রবেশ করতো, সেখানে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হওয়ায় দিনে ৫০/ ৬০টির বেশি গাড়ি ঢুকছে না বন্দরে। এর প্রতিবাদে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারি ও কার্গোওয়েল ফেয়ার ইউনিয়ন চার দিনের ধর্মঘটের ডাক দেয়।
ধর্মঘটের প্রভাবে ভোমরা বন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা এলাকায় প্রায় আড়াই হাজার আমদানি পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ে আছে বলে জানান সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
ভোমরা সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরাফাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারি ও কার্গোওয়েল ফেয়ার ইউনিয়নের ধর্মঘটের কারণে অচল হয়ে পড়েছে ভোমরা বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম।
রাজস্ব কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, ধর্মঘটের কারণে সরকার প্রতিদিন সাড়ে ৩ থেকে ৪ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের সহকারী পরিচালক নিয়ামুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি আজকের মধ্যে নিষ্পত্তি হতে পারে বলে আমরা জানতে পেরেছি। আর নিষ্পত্তি হলে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।