Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, আগষ্ট ২০২৫ | ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফ্লাইট সংকটে অনিশ্চয়তায় ২০ হাজার ওমরাহ যাত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ মে ২০১৯, ০৪:৩৫ PM
আপডেট: ১১ মে ২০১৯, ০৪:৩৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ফ্লাইট সংকটের কারণে দেশে প্রায় ২০ হাজার ওমরাহ হজযাত্রীর ওমরাহ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা সরাসরি ফ্লাইট বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে নয়াপল্টনের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে দেশের ওমরাহ যাত্রীর ফ্লাইটের তীব্র সংকট ও দ্বিগুণ ভাড়া বাড়ায় উদ্ভুত জটিলতা তুলে ধরেন হাব সভাপতি এম শাহাদত হোসাইন তসলিম।

তিনি বলেন, এ বছরের ৮ মে পর্যন্ত সৌদি সরকার বাংলাদেশকে এক লাখ ৬২ হাজার ৫০৮ টি ওমরাহ মোফা দিয়েছে; যা অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি। কিন্তু এয়ারলাইন্সগুলোর আসন সে অনুযায়ী বাড়েনি। এ সুযোগে এয়ারলাইন্সগুলোর ওমরাহ যাত্রীদের বিমান ভাড়া অসহনীয় মাত্রায় বেড়েছে। এ অবস্থায় অন্তত ২০ হাজার ওমরাহ হজ যাত্রীর ফ্লাইট অনিশ্চিত। তাদের অনেকেই সৌদি আরবে হোটেল বুকিংসহ আনুষঙ্গিক পেমেন্ট দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আগে যেখানে ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা সরাসরি ওমরাহ বিমান ভাড়া ছিল ৫০ হাজার টাকা, সেখানে এখন এ রুটে ওমরাহ যাত্রীদের ভাড়া ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টাকা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৯০ থেকে ৯৫ হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে। আবার এত বেশি ভাড়া দিয়েও যাত্রীদের ফ্লাইটের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না।

হাব সভাপতি বলেন, অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করলে ২০ হাজার যাত্রীর ভিসা ও হোটেল বাবদ খরচ হওয়া টাকার পরিমাণ ৮০ থেকে ৯০ কোটি টাকা। যাত্রীদের ফ্লাইটের টিকিট পাওয়া না গেলে এ বিপুল পরিমাণ অর্থ আর ফেরত পাওয়া যাবে না।

এদিকে ছুটিতে আসা অনেক অভিবাসী বিমানের আসন সংকট ও ভাড়া বাড়ার কারণে গন্তব্যে যেতে পারছেন না। তাদের অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে আর অতিরিক্ত বিমান ভাড়ার টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আকারে নিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তসলিম।

এ পরিপ্রেক্ষিতে সমাধান তুলে ধরে হজ এজেন্সি অব বাংলাদেশ হাব সভাপতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াগামী ফ্লাইটগুলোতে যাত্রী সংখ্যা কম থাকে। এ রুটের ফ্লাইটগুলো ফ্রিকোয়েন্সি কমিয়ে ঢাকা জেদ্দা ঢাকা রুটে পরিচালনা করলে যাত্রীরা ওমরাহ পালন করতে পারবেন এবং বিমান লাভবান হবে।

এছাড়া বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোকে বাংলাদেশের ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ সহজ করে দিতে হবে। ওপেন স্কাই এবং তাদেরকে হ্যান্ডেলিং পার্কিং সুবিধা মওকুফ করে বা কমিয়ে দেয়া যেতে পারে।

এ প্রশ্নের জবাবে হাব সভাপতি জানান, সৌদি আরবের মক্কায় পবিত্র হজের উদ্দেশে হাজিদের প্রথম বেসরকারি হজ ফ্লাইট ছাড়বে আগামী ৪ জুলাই। এবং শেষ ফ্লাইট ছাড়বে ৫ আগস্ট।

হজে যেতে প্রতারণা এড়াতে হাজিদের উদ্দেশে হাব সভাপতি বলেন, কোনো মধ্যস্বত্বভোগীকে টাকা দেবেন না। হজে যেতে সরাসরি এজেন্সিতে এসে টাকা দিয়ে রশিদ সংরক্ষণ করবেন। অথবা এজেন্সির অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিবেন।

Bootstrap Image Preview