Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৩ মঙ্গলবার, মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

কর্মক্ষেত্রে হয়রানি; ইউনানি হাসপাতালে তালা দিল চিকিৎসকরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ মে ২০১৯, ০৬:০৯ PM
আপডেট: ০৯ মে ২০১৯, ০৬:০৯ PM

bdmorning Image Preview


কর্মক্ষেত্রে হয়রানির প্রতিবাদে সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তালা দিয়েছেন চিকিৎসকরা। 

হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মানিকগঞ্জে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক সিস্টেমের একজন চিকিৎসককে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে হয়রানি করা হয়েছে- এমন অভিযোগ এনে এই কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

এ দিকে হাসপাতালের চিকিৎসকদের কর্মবিরতি কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে একাডেমিক ভবনে তালা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।

ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আন্দোলনরত চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজে ৪০০ নম্বরের ফার্মাকোলজি পড়ানো হয়, যেখানে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ বিষয়ে বিস্তারিত পড়ানো হয়। এ ছাড়া ৫ বছরের একাডেমিক পড়াশোনা শেষে এক বছর ইন্টার্ন করানো হয়। সেখানে হাসপাতালে তিন মাস জরুরি বিভাগে ইন্টার্ন ছাড়াও অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের প্রয়োগ প্র্যাকটিস করানো হয়। তাহলে কেন অ্যালোপ্যার্থিক ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লিখতে পারবেন না এই সিস্টেমের ডাক্তাররা। এ বিষয়ে হাইকোর্টের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকার পরও কেন হয়রানি করা হবে?

এ বিষয়ে স্বাধীনতা দেশজ চিকিৎসক পরিষদের (স্বাদেচিপ) সভাপতি ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডা. আজম দৌলত আল মামুন বলেন, ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ প্রেসক্রাইভ করতে পারবেন। এ নিয়ে হয়রানি না করতে হাইকোর্টের সুসস্পষ্ট নির্দেশও আছে।

মানিকগঞ্জে মোবাইলে কোর্টের মাধ্যমে চিকিৎসককে হয়রানি করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটা টোটালি বেআইনি। যিনি এটা করেছেন তিনি জানেন না মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা বা জানলেও তিনি সেটাকে পাশ কাটিয়ে গেছেন। এটি সম্পূর্ণ বেআইনি, আদালতের নির্দেশের পরিপন্থি।

এ ধরনের হয়রানি বন্ধ না হলে স্বাদেচিপ ভুক্তভোগী চিকিৎসকদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ডা. আজম দৌলত আল মামুন।

শিগগিরই ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কাউন্সিল গঠন এবং ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতি আইন দ্রুত প্রণয়ণসহ ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে স্মারকলিপি দেন আন্দোলনরত চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা।

এ দিকে হাসপাতালে সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রোগীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। অনেক রোগীকে হাসপাতাল গেট থেকে ফিরে যেতে দেখা গেছে।

Bootstrap Image Preview