Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ বুধবার, আগষ্ট ২০২৫ | ৫ ভাদ্র ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

এবার খাল উদ্ধারে সেনাবাহিনী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ মে ২০১৯, ০৭:২০ PM
আপডেট: ০৪ মে ২০১৯, ০৭:২০ PM

bdmorning Image Preview


জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম নগরীর খালগুলোর ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা শতভাগ উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেডের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী।

শনিবার (৪ এপ্রিল) সকালে নগরীর দামপাড়া আর্মি ক্যাম্পে ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, মেগা প্রকল্পের আওতাধীন খালগুলোর ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শিগগির শুরু করবে সেনাবাহিনী। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া যত্রতত্র ময়লা ফেললে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, মেগা প্রকল্পের আওতাধীন খালগুলোর ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শিগগির শুরু করবে সেনাবাহিনী। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া যত্রতত্র ময়লা ফেললে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত চারটি সভায় জরিমানার বিষয়টি উঠে এসেছে। সচেতনতার জন্য র‌্যালি, মাইকিং কিংবা সমন্বয় করলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সুফল পাওয়া সম্ভব নয়।

শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে উল্লেখ করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী বলেন, এ জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এরপর যারা এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা কিংবা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাজের প্রয়োজনে খালে বাঁধ দেয়া হয়েছে। তবে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে কোনো খালে বাঁধ থাকবে না। খালগুলো শতভাগ বাঁধমুক্ত করা হবে।

তিনি বলেন, অনেক খাল থেকে ময়লা অপসারণ করা হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন পর আবারও খালগুলো ময়লায় ভরাট হচ্ছে। এক্ষেত্রে জনসচেতনতা জরুরি। এজন্য স্থানীয়ভাবে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে একাধিক কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ করে সেনাবাহিনী দায়িত্ব ছাড়বে উল্লেখ করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী বলেন, শতভাগ কাজ সম্পন্ন করে সেনাবাহিনী দায়িত্ব শেষ করবে।

আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতার প্রকোপ কমাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ৪১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নিয়ে চার ধাপে বৈঠক করা হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে তাদের পরিকল্পনাগুলো জমা দিতে বলা হয়েছে। সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে জলাবদ্ধতার প্রকোপ কমাতে কাজ চলছে। আগের তুলনায় এবার জলাবদ্ধতা কম হবে বলে আশা করছি।

সভায় স্লাইড প্রেজেন্টেশনে মাধ্যমে জলাবদ্ধতার ১২টি কারণ, প্রকল্পের আওতায় ৮টি কাজ ও চলমান কাজের সর্বশেষ তথ্য জানানো হয়।

এ ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নে ময়লা না ফেলার জন্য জনসচেতনা তৈরি, জরুরি ভিত্তিতে ব্রিজ বা কালভার্টের থেকে ইউটিলিটি লাইন অপসারণ, সমন্বয়ের মাধ্যমে অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও জলাবদ্ধতা সমস্যা স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে প্রস্তাবিত ৪০টি টাইডাল রেগুলেটর একই সঙ্গে নির্মাণের সুপারিশ করা হয়।
 

Bootstrap Image Preview