সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা ঘূর্ণিঝড় ফণী এখন নাটোরের চলনবিলে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে সেখানে বৃষ্টিপাত ও তীব্র বাতাস বইছে। শনিবার (৪ মে) সকাল ৬টায় বাংলাদেশে প্রবেশ করে তা দুপুর দেড়টার দিকে নাটোরের চলনবিলে এলাকায় প্রবেশ করে।
যেহেতু এটি বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে, তার যাত্রাপথে যেসব এলাকা পড়বে সেখানে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে। তার সঙ্গে ভারী বর্ষণও হতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ।
ইতিমধ্যে রংপুর, রাজশাহীতে ভারী বর্ষণ হয়েছে। সিলেট, ময়মনসিংহ অঞ্চলে ভারী বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে ফণী গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে দুপুর ১২টায় পাবনা, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে জারি করা বিপদ সংকেত নামিয়ে সতর্কতা সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মোংলা, পায়রা, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার উপকূলে বিপদ সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।