রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এমপি বলেছেন, রেলওয়ে বাংলাদেশের দশটি মেগা প্রকল্পের মধ্যে দুইটি বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প। প্রকল্পটির মাধ্যমে অধিক সংখ্যক পর্যটক পরিবহন করতে সক্ষম হব।
তিনি আজ চট্টগ্রামে বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ৫২তম কুচকাওয়াজের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর নতুন সদস্যদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অভিবাদন গ্রহণ করেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে সর্বক্ষেত্রে। রেলওয়েকেও এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এক সময়ে রেলওয়েতে অনেক লোক ঘাটতি ছিল। বর্তমানে লোকবল নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। লোকবল নিয়োগ দেয়া হলে সেবার ক্ষেত্রে এসব সমস্যাগুলো দূরীভূত হয়ে যাবে। বিগত সরকার রেলকে অবহেলা করেছে। লোকবল ছাটাই করেছে। রেলকে ধ্বংশ করার চেষ্টা করেছিল। বর্তমান সরকারই রেলকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে এর জন্য বাজেট বরাদ্দ করছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। রেলকে লাভজনক করতে হলে এর মাধ্যমে পণ্য পরিবহন বাড়াতে হবে। একসময় রেলের মাধ্যমে ৩০% পণ্য পরিবহন করা হলেও বর্তমানে তা ১২% নেমে এসেছে। আগামীতে যাতে ৩০% শতাংশ করা যায় সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
রেলমন্ত্রী বলেন, সারাদেশকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। রেলের হারানো ঐতিহ্য আমরা ফিরিয়ে আনবো।
তিনি বলেন, একমাত্র রেলওয়ে এমন একটি সংস্থা যেখানে নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে অন্য কোন সংস্থায় আলাদা কোনো নিরাপত্তা নেই। কাজেই রেলওয়ে যাত্রীসেবার জন্য আমরা সকল বিভাগের সম্মানিত চেষ্টার মাধ্যমে যাত্রীদের আরো অধিক পরিমাণে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ সময় তিনি আএনবির নতুন সদস্যদের দেশ এবং জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার জন্য আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী মোহাম্মদ রফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক ফারুক আহমেদ, বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পূর্বাঞ্চলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ রেলওয়ের কর্মকর্তারা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।