ঘুর্ণিঝড় ‘ফণি’র বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং এর অধিনস্থ সংশ্লিষ্ট দফতরসমূহ আগামী ৩ ও ৪ মে (শুক্র ও শনিবার) খোলা থাকবে।
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় সিনিয়র তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম খান কর্তৃক গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তার মধ্যে ঘুর্ণিঝড় ‘ফণি’র আশঙ্কা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সকল নৌযান বন্দরে অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে;
বন্দরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ছুটি বাতিল করে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে এবং ঘুর্ণিঝড় ‘ফণি’র সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় জরুরি তথ্য ও নির্দেশনা আদান-প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতর ও সংস্থায় কন্ট্রোল রুম খোলা নিশ্চিত করতে হবে।
তা ছাড়া আজ বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর সমূদ্রবন্দর ও উপকূলীয় জেলাসমূহের জন্য সতর্কতা সংকেত জারি করেছে।
মংলা ও পায়রা: মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা যাচ্ছে। এর মধ্যে উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা যাচ্ছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ (ছয় ) নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজার: কক্সবাজার সমূদ্র বন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বিঃ দ্রঃ সবাইকে নিজ দায়িত্বে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।