দীর্ঘ ২ মাস ইলিশ মাছ সংরক্ষণ বন্ধ থাকার পর আগামী ১ মে বুধবার থেকে পুনরায় চালু হচ্ছে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ ইলিশ মাছ ধরা। এরই মধ্যে জাল নৌকা নিয়ে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে চাঁদপুরের জেলেরা। তারা এখন জাল বুনে এবং তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
গত ২ মাস জেলেরা নদীতে নামতে না পেরে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে ছিলেন। তবে মাছ ধরা শুরু হলে সেই ক্ষতি এখন পুষিয়ে নেওয়ার কথা জানালেন তারা।
চাঁদপুর সদর উপজেলার বহরিয়া এলাকার জেলে মমিন রাঢ়ি জানান, গত ২ মাস বেশ কষ্টে ছিলাম। পরিবারে অভাব ছিল। কিন্তু ইলিশ বড় হবে সেই কথা ভেবে নদীতে নামিনি। এখন নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে মাছ ধরতে নামব। জেলে মমিন রাঢ়ির মতো চাঁদপুরে নদীপাড়ের অন্য জেলেদেরও একই কথা।
অন্যদিকে, বিচিত্র স্বভাব এবং পরিভ্রমণশীল জাতের মাছ ইলিশ এখন গভীর সমুদ্রে অবস্থান করছে। তবে মৌসুম শুরু হলেই তারা ফের নদীর মিঠা পানিতে ফিরে আসবে বলে জানালেন ইলিশ গবেষক দেশের শীর্ষ মৎস্যবিজ্ঞানি ড. রবিউল আউয়াল হোসেন। তিনি আরো বলেন, নদীর পানির তারতম্য এবং বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করে সাগর ছেড়ে নদীতে ছুটে আসে ইলিশের ঝাঁক। তার জন্য জেলেদের কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। তবে তার জন্য এখন তাদের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই।
প্রসঙ্গত, গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে চাঁদপুরের প্রায় ৬০ হাজার জেলে পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরতে নামেননি।