বহুল আলোচিত ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ কার্যকর করতে গেজেট প্রকাশে নিষ্ক্রিয়তায় রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।বেপরোয়া মোটরযান চালনায় দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজার বিধান রেখে আইনটি তৈরি করা হয়েছে।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আইনটি কার্যকর করতে গেজেট প্রকাশে বিবাদীদের ব্যর্থতা, নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং আইন কার্যকর করতে গেজেট প্রকাশে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি সচিব, প্রধানমন্ত্রী সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগের সচিব, সংসদবিষয়ক সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পূরবী রানি সাহা ও পূরবী রানি শর্মা।
মনজিল মোরসেদ বলেন, দেশে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আইন পাসের জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় সরকার ঘোষণা দিয়েছিল আইনটি যুগোপযোগী করে পাস করা হবে।
সে অনুযায়ী গত বছরের ৮ অক্টোবর আইনটি সংসদে পাস হওয়ার পর গেজেট হয়েছে। ওই আইনে বলা হয়, সরকার গেজেট প্রকাশ করে আইনটি কার্যকর করবে। কিন্তু ছয় মাস পার হলেও সরকার গেজেট প্রকাশ করেনি।
গেজেট প্রকাশ করে আইনটি কার্যকর করার জন্য সরকারকে উকিল নোটিশ দেয়া হয়েছিল। সেটি না হওয়ায় জনস্বার্থে রিট আবেদন করেছিলাম। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছেন।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আইনজীবী সরওয়ার আহাদ চৌধুরী, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভুঁইয়া ও আইনজীবী রিপন বাড়ৈ বুধবার রিট আবেদনটি করেন।
এর আগে ১০ এপ্রিল আইনটি কার্যকর করতে সাত দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করতে এইচআরপিবির পক্ষে আট সচিবকে উকিল নোটিশ দেয়া হয়েছিল।
মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, আইনটির প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে। আবার আইনটি নিয়ে একটি পক্ষের বিরোধিতাও আছে। গাড়ির মালিক ও চালকরা মনে করছেন আইনটির প্রয়োগ হলে তারা সমস্যায় পড়বেন। আমাদের ধারণা- গেজেটটি প্রকাশ না করার ক্ষেত্রে পরোক্ষ শক্তির ভূমিকা থাকতে পারে।