Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ মঙ্গলবার, আগষ্ট ২০২৫ | ১০ ভাদ্র ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘শ্রীলঙ্কা ফেরত ১১ শ্রমিককের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা মেলেনি’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:১৪ PM
আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:১৪ PM

bdmorning Image Preview


শ্রীলঙ্কায় সিরিজ বোমা হামলার পর বাংলাদেশে ফেরত আসা ১১ জন শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদে এখন পর্যন্ত কোনো রকমের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা মিলেনি বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

শনিবার দুপুরে মিন্টো রোডের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা ফেরত আসা শ্রমিকদের প্রত্যেকের আলাদা প্রোফাইল তৈরি করছি।

তিনি বলেন, শ্রমিকদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যা জানা গেছে, তারা সাধারণ শ্রমিক ছিলেন। তাদের ওপরে ম্যানেজার ও সুপারভাইজার ছিল। তাই মালিকের সাথে তেমন কোনো সম্পর্ক ছিল না। সাধারণ শ্রমিক হিসেবে পুরো সময়ে মাত্র দুইবার বা তিনবার মালিকের সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে। মালিকের সাথে আসলেই অন্য কোনো সম্পর্ক ছিল কি-না তা জানতেই শ্রমিকদের আনা হয়েছে।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ফেরত আসা ১১ জন শ্রমিক যে কারখানায় কাজ করতেন, সেটি জঙ্গি নেতা ইব্রাহীম ইনসাফ আহমেদের একটি তামার কারখানা ছিল। গ্লোব মেটাল নামে ওই কারখানার মালিক জঙ্গি কার্ক্রমের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। যিনি সিনামন হোটেলে এটাক করতে গিয়ে মারা গেছে। এ ঘটনার পর ওই দেশের পুলিশ কারখানাটি বন্ধ করে দেয়। আর শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে স্ব স্ব দেশে হাই কমিশন অফিসের মাধ্যমে ফেরত পাঠিয়েছে। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে এসেছি। মালিক সম্পর্কে এরা কিছু জানে কি-না সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, এরা সাধারণ শ্রমিক হলেও জিজ্ঞাসাবাদের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কারণ এদের সবাই ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে জীবিকার তাগিদে অল্প বেতনে ওই তামার কারখানায় কাজ নেয়। অনেকের ভিসার মেয়াদ নেই। কারোরই ওয়ার্ক পারমিট নেই। তারা অবৈধ শ্রমিক হিসেবে সেখানে ছিলেন। সকলকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়নি। সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে নাকি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটি বলার সময় এখনো আসেনি। তাদের পূর্বের কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে কি-না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এই ১১জন শ্রমিক কলম্বোতে একটি তামা জাতীয় জিনিস তৈরির কারখানায় চাকরি করতেন। ওই ফ্যাক্টরিতে হামলার জন্য বোমা তৈরি করা হয়েছিল। পরে শ্রীলংকান পুলিশ ১১ শ্রমিককে আটক করে হাইকমিশনের মাধ্যমে শুক্রবার সকালে ঢাকায় পাঠায়। শুক্রবার রাতে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিটিটিসি হেফাজতে নেয়।

Bootstrap Image Preview