রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের অভ্যন্তরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল বনলতা এক্সপ্রেসের। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে ট্রেনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওই প্রান্তে বেশ জমকালো আয়োজনে ট্রেনের উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু উদ্বোধনীতে আসন পাননি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। অনুষ্ঠানে গিয়ে আসন না পেয়ে বিব্রত হন স্থানীয় এই দুই শীর্ষ নেতা। ক্ষোভে-অভিমানে কর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যান আসাদ-ডাবলু।
অনুষ্ঠানে আসন না পেয়ে ক্ষুদ্ধ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ জানায়, রেলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা আসনে ছিলেন। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাদেরও বসার জায়গা ছিলো। কিন্তু জেলা ও নগর সাধারণ সম্পাদকের জন্য কোনো ব্যবস্থায় রাখা হয়নি। এটি অপমানজনক। আর এ কারণেই তারা অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে চলে গেছেন।
উদ্বোধন শেষে বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ছাড়ে বিরতিহীন বনলতা এক্সপ্রেস। উদ্বোধনী যাত্রায় সাধারণ যাত্রীদের বিনা ভাড়ায় গন্তব্যে পাড়ির সুবিধা দেয়ার কথা থাকলেও উদ্বোধনী যাত্রায় বনলতায় চেপেছেন ক্ষমতাশীন দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা ও রেল কর্মকর্তারা।
অত্যাধুনিক এই ট্রেনটিতে রয়েছে ১২টি কোচ। এর মধ্যে শোভন চেয়ারের বগি ৭টি, যার আসন সংখ্যা ৬৬৪টি। এসি বগি ২টি, আসন সংখ্যা ১৬০টি। একটি পাওয়ার কারের আসন সংখ্যা ১৬টি। দুটি গার্ডব্রেকের আসন সংখ্যা ১০৮টি। বনলতায় মোট আসন ৯৪৮টি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, এমপি শামসুল হক টুকু, অধ্যাপক ডা. মনসুর রহমান, ডা. শামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর রহমান, রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি হাফিজুর রহমান, নগর পুলিশ কমিশনার হুমায়ূন কবির ও জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদেরসহ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করবে বনলতা এক্সপ্রেস। ট্রেনটি রাজশাহী থেকে সকাল ৭টায় ছেড়ে ঢাকা পৌঁছাবে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে। বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে রাজশাহী পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৬টায়।
এই ট্রেনটিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রথম নিজস্ব ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম সার্ভিসে (বিআরসিটিএস) খাবার সরবরাহ করছে। ১৫০ টাকা খাবার মূল্যসহ শোভন চেয়ারের ৪২৫ টাকা এবং এসি চেয়ারের ৮৭৫ টাকা টিকেট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহে ছয়দিন চলাচল করবে ট্রেনটি।