বিদেশ ভ্রমণে নলেজ হয় কিন্তু কাজে আসে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটরিয়ামে আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কৃষিতে আমাদের উৎপাদনের ক্ষেত্র বড় করতে হবে। একটা টার্গেট নিয়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কাজ করতে হবে। আমরা ৩০ হাজার কোটি টাকার তেল আমদানি করি। ফলে বিপুল অংকের টাকা এ খাতে ব্যয় করতে হয়। ডাল, তেল ও মসলা ফসলের আবাদ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
একই সাথে আমদানি নির্ভরতা কমাতে কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণে উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান। এজন্য যান্ত্রিকীকরণের দিকে নজর দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পায় তার জন্য বাজারজাতকরণ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য কাজ করতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের দেশ ও দেশের বাইরে মটিভেশনাল ১০০টি ট্যুরের কথা উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এসব ভ্রমণের দ্বারা নলেজ হয়, জ্ঞান বাড়ে। কিন্তু সেগুলো আসল ক্ষেত্রে কাজে লাগে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান বলেন, তেল ব্যবহারে আমরা বিশ্বে ৮ম এবং আমদানিতে ৩য়। তিনি মনে করেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ডাল, তেল ও মসলা ফসলের আমদানি ২০ শতাংশ কমানো সম্ভব। তিনি ইউনিয়নভিত্তিক বীজ এসএমই না করে বরং উপজেলা ও জেলাভিত্তিক উপযোগিতা যাচাই করে এসএমই গঠন করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। একই সময় তিনি এসএমই কর্তৃক উৎপাদিত বীজ স্থানীয়ভাবে কৃষি কর্মকর্তাদের সহায়তায় বিক্রির উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মীর নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল মুঈদ, প্রকল্পের মূল পরিচালক খায়রুল আলম প্রিন্স প্রমুখ।