Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ সোমবার, আগষ্ট ২০২৫ | ৩ ভাদ্র ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

সাত শতাধিক অতিথির অংশগ্রহণে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলা নববর্ষের বর্ণাঢ্য উৎসব

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০১৯, ০৫:৪৪ PM
আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৯, ০৫:৫২ PM

bdmorning Image Preview


দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। এতে প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

রবিবার সিউলের সিটি হলে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ উদযাপনের ব্যবস্থা করা হয়।

অনুষ্ঠানে কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকবৃন্দ, শতাধিক কোরিয়ান নাগরিক, বাংলাদেশিদের সামাজিক সংগঠনের সদস্য এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রবাসীসহ সাত শতাধিক অতিথি স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

এ উপলক্ষ্যে মিলনায়তন এবং এর আশে-পাশে ব্যানার, ফেস্টুন, বেলুন ইত্যাদি দিয়ে সুসজ্জিত হয়। এছাড়া বাংলাদেশী কারুপণ্য দিয়ে মিলনায়তনের ভেতরে কয়েকটি বুথ সাজানো হয়।
 
বর্ষবরণের এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিউল মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্টের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক দূত মান্যবর জনাব লিম গিয়ন-হিয়ং।

দূতাবাস পরিবার কর্তৃক ‘এসো হে বৈশাখ’ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। অতঃপর দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যে সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাঙালির রণের এই সার্বজনীন উৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার পরিচায়ক।

তিনি বিদেশি অতিথিদের বাংলা নববর্ষের পটভূমিসহ কোরিয়ার নববর্ষ সোললালের সাথে এর বিভিন্ন সাদৃশ্য তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাবইম গিয়ন-হিয়ং সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাঙালি সংস্কৃতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তিনি ভাষা, সংস্কৃতি ও স্বাধিকার আন্দোলনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সাদৃশ্যের বিষয়ে আলোকপাত করেন।
 
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিলো মঙ্গল শোভাযাত্রা। বর্র্ণিল পোশাকে সজ্জিত হয়ে রঙ-বেরঙের মুখোশ, ব্যানার ও পতাকা নিয়ে দুই শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশী এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।


 
সাংস্কৃতিক পর্বে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে ১০ সদস্যের একটি দল ‘আবহমান বাংলা’ এবং ‘জন্মেছি এই দেশে’ এই দু’টি পরিবেশনার মাধ্যমে দর্শকদের বিমোহিত করে। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এই পর্বে কোরিয়ান শিল্পীরা হারমনিকা এবং সুপরানো পরিবেশন করেন।

এছাড়া প্রবাসী শিল্পীরা নাচ, গান ও কবিতা পরিবেশন করেন। মধ্যাহ্নভোজে ছিলো শতভাগ বাঙালিয়ানা।

পহেলাবৈশাখের পান্তা-ইলিশের সাথে কয়েক পদের ভর্তা দিয়ে প্রায় সাত শতাধিক অতিথিকে আপ্যায়ন করা হয়।

Bootstrap Image Preview