Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ রবিবার, আগষ্ট ২০২৫ | ২ ভাদ্র ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

সুযোগ পেলেই ছাত্রীদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন এই শিক্ষক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৩৭ PM
আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৩৭ PM

bdmorning Image Preview


সুযোগ পেলেই ছাত্রীদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। ব্যবহারিক ক্লাসের সময় তার বিকৃত যৌন লালসার শিকার হয়েছে অনেক ছাত্রী। এসব অভিযোগ পাওয়া গেছে নাটোরের নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রধান কাজী ইসমাইল হোসের বিরুদ্ধে।

১০ এপ্রিল যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে এবং প্রতিকার চেয়ে নাটোর প্রেসক্লাবে একটি চিঠি দিয়েছে তারা।

শনিবার উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ছাত্রীদের পাঠানো চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ। তবে, চিঠিতে সুনির্দিষ্ট করে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, কলেজের শিক্ষকদের কাছে নিরাপত্তা পাচ্ছেন না ছাত্রীরা। শিক্ষকদের প্রাইভেট বাণিজ্য আর ব্যবহারিকের নম্বর শিক্ষকদের হাতে থাকার কারণে ছাত্রীরা তাদের কাছে যেতে বাধ্য হন।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, কিছুদিন আগে উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রধান কাজী ইসমাইল হোসেনের যৌন লালসার শিকার হয়েছেন তাদেরই এক সহপাঠী। ওই ঘটনা যাতে জানাজানি না হয় সেজন্য তাকে কলেজে আসতে নিষেধ করেন শিক্ষক ইসমাইল। কিন্তু বিষয়টি কলেজে জানাজানি হওয়ায় পর ওই ছাত্রীকে নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষকদের টাকার কাছে কলেজের ছাত্রনেতারা বিক্রি হয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করা হয় চিঠিতে। ওই চিঠিতে ছাত্রীরা ক্লাসে যেতে তাদের শঙ্কার কথাও তুলে ধরেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক কাজী ইসমাইল হোসেন তার কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেন শিক্ষার্থীদের। পাশাপাশি ব্যবহারিক ক্লাসের সময় ছাত্রীরা তার কাছে গেলে বিভিন্ন সময় যৌন হয়রানি শিকার হন। সুযোগ পেলেই ছাত্রীদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে সম্প্রতি উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বনভোজনে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি প্রসঙ্গ উঠে আসে। কলেজের এক শিক্ষকের হাতে এক ছাত্রী যৌন হয়রানি শিকার হওয়ার পর শিক্ষকরা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী বলেন, ব্যবহারিক ক্লাসের সময় শিক্ষক কাজী ইসমাইল হোসেন আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেন। বিষয়টি অন্য শিক্ষকরা জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। তিনি বিভাগীয় প্রধান হওয়ায় কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।

অভিযুক্ত শিক্ষক কাজী ইসমাইল হোসেন ছুটিতে থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার মোবাইলে কল দেয়া হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সামসুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। বিষয়টি জানতে কলেজের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

এ বিষয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন ও খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। তবে, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থানায় এখনো আসেনি।

Bootstrap Image Preview