Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ রবিবার, আগষ্ট ২০২৫ | ২ ভাদ্র ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

নুসরাত হত্যার বিচার ও নির্যাতনকারীদের শাস্তি দাবি আরেফিন সিদ্দিকির

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৪৭ PM
আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৪৭ PM

bdmorning Image Preview


ছয় মাসের মধ্যে কিংবা তার থেকেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে নুসরাত জাহান রাফি হত্যার বিচার ও নির্যাতনকারীর উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।      

শুক্রবার(১২ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন লাউঞ্জে ‘নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়ন শীর্ষক’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।

সভাটির আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ (মহিলা ইউনিট) বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি ড. আরেফিন সিদ্দিকি তার বক্তব্যে আরও বলেন, একজন মাদ্রাসাছাত্রী, সেই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ দ্বারা নির্যাতন খুবই কষ্টকর। নারীর প্রতি নির্যাতন বন্ধে শিক্ষা ও সচেতনতা দরকার। সেই সচেতনতা তৈরি করতে পারেন আপনারা। কারণ আপনার কারও মা, বোন এবং শিক্ষক। আপনারাই পারেন আপনাদের সন্তানদের শিক্ষিত ও সচেতন করে নারীর প্রতি সব ধরনের নির্যাতন বন্ধ করতে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নারীর শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে অনেক আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। এজন্য বিশ্ববাসীও আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।       

জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে আলোচনা সভাটি শুরু হয়। এরপর নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক নূরজাহান মণি। মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল হক আলো।

অধ্যাপক গোলসান আরা বেগমের সভাপতিত্বে, অনুষ্ঠানটির পরিচালনা করেন অধ্যাপক মোফাচ্ছের হোসেন জীবন।  

অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের সাবেক পরিচালক  ড. নাজমা শাহীন।

বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও  গবেষণা পরিষদ (মহিলা ইউনিট) সভাপতিমণ্ডলীর অধ্যাপক ড. খুরশিদা বেগম, জনতা ব্যাংকের ডিজিএম আখতারি বেগম, লায়ন কামরুনেসা খান,  ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ, আনজুমান আরা নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগ, অধ্যাপক উল্লাসিনী সরকারসহ আরও অনেকে।  

বক্তারা তাদের আলোচনায় বলেন, একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুরুষের পাশাপাশি নারীকেও নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। জাতির আন্দোলন সংগ্রামে নারীর ত্যাগকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে। তাহলেই ২০৪১ সালের ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত অসাম্প্রদায়িক উন্নত একটি দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।

Bootstrap Image Preview