সমীক্ষা বলছে, মোদিকে হারাতে পারবে না কেউ

এবার আগের বারের চেয়ে অনেকটা কম শক্তি নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) সরকার। আরও একটি জনমত সমীক্ষায় জানা গেলএমনই আভাস। 

গতকাল মঙ্গলবার সামনে এসেছে এই জনমত সমীক্ষা। ওই সমীক্ষার পূর্বাভাস অনুযায়ী, এবার এনডিএ পেতে পারে ২৭৪টি আসন। যা লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের চেয়ে মাত্র দু'টি আসন বেশি।

২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে কার্যত মোদি ঝড় প্রত্যক্ষ করেছিল গোটা ভারত। এনডিএ পেয়েছিল ৩৩৬টি আসন। সেবার বিজেপি একাই সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। তারা পেয়েছিল ২৮২টি আসন।

কিন্তু ওই সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে, বিজেপি এবার আর সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বিজেপি পেতে পারে ২২৮টি আসন। ফলে ২০১৪ সালের চেয়ে বিজেপির আসন সংখ্যা ৫৪টি কমে যেতে পারে।

ওই জনমত সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছে, এবার ২০১৪ সালের চেয়ে ভালো ফল করবে কংগ্রেস ও ইউপিএ। গতবার কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্সের শোচনীয় ফল হয়েছিল। সব মিলিয়ে তারা পেয়েছিল মাত্র ৬০টি আসন। এবার তারা আগের বারের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি আসন জিততে পারে। তাদের দখলে আসতে পারে ১৪০টি আসন।

সমীক্ষা আরও ইঙ্গিত দিচ্ছে, কংগ্রেস এবার ৮৮টি আসন পেতে পারে। আর তা হলে আগেরবারের তুলনায় কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা একেবারে দ্বিগুণ হয়ে যাবে। কারণ কংগ্রেস ২০১৪ সালে মাত্র ৪৪টি আসনে জিতেছিল।

নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই কোমর বেঁধেছে বিরোধীরা। বাংলায় তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি, অন্ধ্রপ্রদেশে তেলগু দেশম পার্টির চন্দ্রবাবু নায়ডু, জেডিএসের এইচডি দেবেগৌড়া, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতী এক হয়েছেন।

ফলে আঞ্চলিক দলগুলি এবার কেমন ফল করে সেদিকে নজর রয়েছে সকলের। সমীক্ষা বলছে, আঞ্চলিক দলগুলি সব মিলিয়ে ১২৯টি আসন পেতে পারে।