৬৫.৪৮ শতাংশ কৃষক নানা সময় অন্য পেশায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে জানা যায় বাংলাদেশে পারিবারিক কৃষিসংকট ও সম্ভাবনা নিয়ে পরিচালিত জরিপে।
জরিপ মতে, কৃষক পরিবারগুলোর মধ্যে ৮৩.১৫ শতাংশ বলেছেন তাদের খামারের আয় তাদের পারিবারিক চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট নয়।
আজ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউটে খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক- খানি, একশানএইড, কেন্দ্রীয় কৃষকমৈত্রী আয়োজিত পারিবারিক কৃষিতে অর্থায়ন শীর্ষক সেমিনারে এই তথ্য প্রকাশ করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিসচিব মোহাম্মদ নাসিরুজ্জামান বলেন, কৃষক ও পারিবারিক কৃষিকে বাঁচানো না গেলে বাংলাদেশ বাঁচবে না। এই গবেষণা থেকে যে সুপারিশগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলোর সাথে আমি একদম পোষণ করছি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে পারিবারিক কৃষিসংকট ও সম্ভাবনা এবং কৃষিতে নারী’ শীর্ষক দুটো বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করা হয়।
খাদ্যনিরাপত্তা নেটওয়ার্ক- খানির সভাপতি ড. জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে ও একশানএইডের পরিচালক আসগর আলী সাবরির পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিসচিব মোহাম্মদনা সিরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতি সংঘকৃষি ও খাদ্য সংস্থার পরামর্শক ড. অনিল কুমার দাস ও মৃক্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল বারী।
বক্তব্য রাখেন এশীয় ফামার্স এলায়েন্সর সভাপতি সাজেদা বেগম, গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলেনর সম্পাদক আমান রহমান, বিসেফ ফাউন্ডেশানের সম্পাদক আতাউর রহমান মিটন, খাদ্যনিরাপত্তা বিষয়ক কনসালটেন্ট আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
দেশের ১১টি অঞ্চলের ১৪টি উপজেলার ৮৬টি গ্রামের ৮৯৯ জন কৃষকের কাছ থেকে গবেষনার তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
গবেষক পাভেল পার্থ ও নুরুল আলম মাসুদ বলেন, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৮০.৫৪ ক্ষুদ্র কৃষক নিজেদের উতপাদিত পণ্যবাজারজাতকরণে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন এবং তারা মনে করেন বাজারে অভিগম্যতা এবং বাজারজাতকরণ সহজ মনে করেন না। পারিবারিক কৃষি জোরদার করতে কৃষি জমি সুরক্ষা ও কৃষি জমিতে কৃষকের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা, কৃষি প্রতিবেশ ভিত্তিক কৃষি সুরক্ষা করা, কৃষিতে যুবসমাজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের স্বার্থে শষ্যবীমা, কৃষকদের জন্য পেনশান স্কিম, বীজবীমা এবং অনুজীব ভর্তুকি প্রদানসহ ১০টি সুপারিশ তুলে ধরেন।