Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ শনিবার, আগষ্ট ২০২৫ | ৭ ভাদ্র ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘বিএনপি ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল ২০১৯, ০৭:৩১ PM
আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৯, ০৭:৩১ PM

bdmorning Image Preview


দেশের রাজনীতিতে বিএনপি ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

আজ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ধানমন্ডি আওয়ামী লীগের সভাপতি রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ভয়ের রাজত্ব কারা কায়েম করতে চেয়েছে এটা দেশের মানুষ ভালো করে জানে। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে বিএনপি মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা মেরেছে। হাজার হাজার মানুষকে আগুনে জ্বলসে দিয়েছে। ৫ শতর বেশি মানুষকে তারা আগুনে পুরিয়ে হত্যা করেছে। নিরহ মানুষের ওপর, অন্তঃসত্ত্বা নারীর ওপর, স্কুল ফেরত বালকের ওপর, ইজতেমা ফেরত মুসল্লির ওপর, ঘুমন্ত ট্রাক ড্রাইভারের ওপর পেট্রোল বোমা মেরে হত্যা করেছে। রাজনীতি ও দেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে বিএনপি।  এ কথাটি তাদের বেলায় প্রযোজ্য। রাজনীতিতে ভীতি ও অগ্নি সন্ত্রাস সংযোজন করেছে বিএনপি। এটা আমাদের রাজনীতিতে ছিলো না। এমনকি উপমহাদেশের রাজনীতিতে ছিলো না।

তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে চিঠি দেয়া প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাজ্যের সাথে আমাদের বন্দি বিনিময় না থাকায়  তারেক রহমানকে ফেতর পাঠাতে চিঠি দেয়া হয়েছে। এখানে প্রতিহিংসার কোনো বিষয় নেই। আইন আদালতকে সম্মান রক্ষারথেই তাকে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। আরেকটি বিষয় হচ্ছে তিনি যদি মনে করেন তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার সম্মুখীন হচ্ছে। তাহলে তো তিনি নিজেকে এখানে চলা আসা প্রয়োজন। তার সৎ সাহস থাকলে আদাতলে এসে আত্মসমর্পণ করা উচিত। কিন্তু তার সেই সাহস নেই। তার যে দুর্নীতি সেটি বাংলাদেশ সরকার উদঘাটন করেনি। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই উদঘাটন করেছে।

মন্ত্রী বলেন, ২১ আগষ্টে গ্রেনেট হামলা, যে মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত, শাস্তি প্রাপ্ত। এটা দিবালোকের ন্যায় সত্য। সাক্ষ্য প্রমাণের মাধ্যমে এটা প্রমাণিত হয়েছে। তিনি ফৌজদারি মামলায় দণ্ড প্রাপ্ত আসামি। বিএনপি উচিত। তিনি ২১ আগষ্ট গ্রেনেট হামলা মামলার দণ্ড প্রাপ্ত আসমি। একই সাথে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপি উচিত ছিল তাকে নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়া। তারা সেটি করেনি। বরং একজন দুর্নীতিবাজ ও হত্যা মামলার আসামি দণ্ড প্রাপ্তকে সব ধরনের রাজনৈতিক সুরক্ষা দেয়ার চেষ্টা করছে। এটা বিএনপি রাজনৈতিক দৈন্যতারই বর্হিরপ্রকাশ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, হত্যা-কু'এর মধ্যে দিয়ে বিএনপি জন্ম। এখনো তারা সেটি থেকে বেড়িয়ে আসেনি। যে বিএনপির নেতৃত্বে দেশ ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। সেই গ্যালানি মুক্ত বিএনপি হতে চায় না বিধায়, তারেক রহমান যিনি দুটি মামলার আসামি তাকে রাজনৈতিক সুরক্ষা দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এটা ন্যায়ের শাসন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে, রাজনীতিকে কলুষ মুক্ত করার ক্ষেত্রে অন্তরায়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাগজে আমি দেখেছি বিএনপি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষেত্রে যৌথ ভাবে ৫ জন নেতাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অনেক সিনিয়র নেতার নাম নেই। এটার মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয় বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে অনেক সন্দেহ, অবিশ্বাস বিরাজ করছে। সেটারই বর্হিরপ্রকাশ হচ্ছে মহাসচিবের কৃত্বিত খর্ব করা। পাশাপাশি মহাসচিবের সাথে আরও কয়েকজনকে জুড়ে দেয়া হয়েছে। আমি কাগজের আরও দেখলাম ঐক্য ফ্রন্টের নেতৃত্বে মহাসচিব একা যেতে পারবে না। একে অপরের প্রতি প্রচণ্ড অবিশ্বাস থেকেই এ সিদ্ধান্ত।

বিএনপি সহযোগী অঙ্গসংগঠনের সাথে আন্দোলন কৌশল নির্ধারণ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগে এ মুখপাত্র বলেন, বিএনপির আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণ করতে করতেই ইতিমধ্যে ১০ বছর চলে গেছে। কৌশল নির্ধারণ করতে আর কত দিন লাগে এটা হলো দেখার বিষয়।

Bootstrap Image Preview