প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হঠাৎ দেখলাম আমেরিকা একটা সিকিউরিটি অ্যালার্ট দিয়েছে। কি কারণে তারা অ্যালার্টটা দিলো তারা সেটা কিন্তু আমাদের কাছে বলেওনি, ব্যাখাও দেয়নি।
শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) গণভবনে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় বাংলাদেশ সরকারকে অ্যালার্টের কারণ জানানো আমেরিকার দায়িত্ব বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন যদি তাদের কাছে কোনো তথ্য থাকে, তবে তাদের কর্তব্য আমাদের জানানো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি কোনো তথ্য থাকে (আমেরিকার কাছে), কোনো ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে- তাদের একটা দায়িত্ব আছে আমাদের অন্তত সেই বিষয়টা জানানো বা আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে জানানো। যেন আমরা তা মোকাবেলা করার ব্যবস্থা নিতে পারি। এই অ্যালার্টটা কেন দিলো এটা আমাদের জানার বিষয়। যে কি কারণে দিলো। যদি আগামীতে কোনো ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে হয়, তবে তাদের দায়িত্ব হচ্ছে আমাদের জানানো।
আমেরিকার সিকিউরিটি অ্যালার্টের কারণ জানতে গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি এরইমধ্যে নির্দেশ দিয়েছি গোয়েন্দাদের যে কি কারণে অ্যালার্ট দেওয়া হয়েছে, তাদের কাছে কোনো তথ্য আছে কিনা।
কূটনৈতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ধরনের ক্ষেত্রে কোনো দেশ যদি নিরাপত্তা সর্তকতা দেয় তবে সেই দেশটির উচিৎ আনুষ্ঠিক বা অনানুষ্ঠানিকভাবে তার কারণ সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার বা গোয়েন্দা সংস্থাকে জানানো। এটাই শিষ্টাচার।
বাংলাদেশে পরপর কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ আগুন লেগেছে- আগুন তো সব দেশেই লাগে। ঐ আমেরিকাতেও একটা সার কারখানা থেকে শুরু করে হাসপাতাল সবই পুড়ে শেষ। কতজন মারা গেছে সেই খবর কেউ জানেও না। এ রকম বহু ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, লন্ডনে আগুন লেগে ৭০ জন মারা গেল। আরও যে কত লোক মারা গেছে সেটার হিসেবও নেই। সেখানে হিসেবও হয় না। উদ্ধার কাজও আমাদের মতো এতদিন কেউ চালায় না।
এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের প্রায় সবাই উপস্থিত ছিলেন।