বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরীকে চাপা দেয়ার ঘটনায় গ্রেফতার সু-প্রভাত পরিবহনের মালিক ননী গোপালের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ শুক্রবার বিকেলে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকি বিল্লাহ তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অন্যদিকে তার আইনজীবী ইয়ার খান রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, এ মামলায় যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা আসামির বিরুদ্ধে যায় না। এ গাড়ির ড্রাইভার-হেলপার রিমান্ডে আছে। কিন্তু মালিকতো আর গাড়ি চালাইনি। তাহলে কেন রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর প্রত্যেক মালিক তো বলবেই যে নিরাপদ স্থানে গাড়ি সরিয়ে নেয়ার কথা। এটি তো অপরাধের কিছু নেই। রিমান্ড চাওয়ার কোনো যুক্তিগত কারণ নেই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, গাড়ির চালকের হালকা লাইসেন্স ছিল। কন্ডাক্টরের কোনো লাইসেন্স ছিল না। তারপর মালিক কন্ডাক্টরকে গাড়ি চালাতে নির্দেশ দিয়ে অপরাধ করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর মুগদা থেকে ননী গোপালকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
উল্লেখ্য, ১৯ মার্চ সকাল ৭টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন প্রগতি সরণি এলাকায় সু-প্রভাত বাসের চাপায় বিইউপির শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহত হন।
এদিন দিবাগত রাতে নিহত আবরারের বাবা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আরিফ আহম্মেদ চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয়- বাসের চালক সিরাজুল ইসলাম, তার সহকারী, কন্টেকটার ও মালিককে।