ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল ফাইনাল ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে যান তিনি।
সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গ্রামের ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলা করার জন্য প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছি। ফুটবল বাংলাদেশের মানুষের অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা। আমি ফুটবল পরিবার থেকেই উঠে এসেছি। আমার দাদা, বাবা ফুটবল খেলতেন এবং খেলা দেখতে পছন্দ করতেন। আমার ভাই শেখ কামাল এবং শেখ জামালও ফুটবল খেলতেন। আমার নাতি-পুতি, জয়ের মেয়ে, রেহানার ছেলে-মেয়ে সবাই ফুটবল খেলে।
এ সময় বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী দিনে পুরস্কার বিতরণের সময় প্রধানমন্ত্রীর মায়াবী হাত দিয়ে মুছে দেন মেয়েদের চোখের পানি।
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ময়মনসিংহের পাঁচরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেয়েরা। তারা ১-০ গোলে হারিয়েছে লালমনিরহাটের টেপুগাড়ি বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেয়েদের।
ম্যাচ শেষ হওয়ার পরই কান্না শুরু করে টেপুগাড়ি বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেয়েরা। কিছুতেই তাদের কান্না থামছিল না। স্কুলের শিক্ষকরাও যেন ব্যর্থ হচ্ছিলেন তাদের কান্না থামাতে। এমনকি পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে উঠেও কান্না করছিলেন তারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে গিয়ে ছাত্রীরা পেল মায়ের স্নেহ। মুহূর্তেই ছোট ছোট মেয়েরা ট্রফি না পাওয়ার কষ্ট ভুলে গেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদর ও ভালোবাসায়। মেয়েদের গলায় পদক পরিয়ে প্রধানমন্ত্রী বুকে টেনে নেন এক একজনকে। আরেক হাত দিয়ে মুছে দেন কান্নারত মেয়েদের চোখের পানি।
এ সময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের খেলোয়াড়রাই জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সুনাম অর্জন করছে। ফুটবলে মেয়েরা আজ আন্তর্জাতিক সম্মান বয়ে আনছে। এত বড় আয়োজনের (বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ) খেলা পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম।
ধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের যে আয়োজন করেছি সেখানকার খেলোয়াড়রাই জাতীয় দলে স্থান পাচ্ছে। তারাই আজ আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সুনাম বয়ে আনছে। এ ধরনের উদ্যোগ না নিলে হয়তো এটা সম্ভব হতো না।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম আল হোসেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন প্রমুখ।