Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ বুধবার, আগষ্ট ২০২৫ | ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

লোকাল বাসে চড়ে নির্বাচনী এলাকায় গেলেন মতিয়া চৌধুরী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০১৯, ১০:২৯ PM
আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৯, ১১:০১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা রাজলক্ষী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষী উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাত্রীবাহী একটি বাসযোগে নিজ নির্বাচনী এলাকায় যান সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তিনি শনিবার সকালে ওই বিদ্যালয়ের শতবর্ষী উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন।

অন্যান্যদের মতো সরকারি গাড়ি দিয়ে নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসার যথেষ্ট সুযোগ থাকা সত্ত্বেও, তিনি ওই সুযোগকে কাজে না লাগিয়ে সাধারণ বাসযোগে বৃহস্পতিবার শেষ রাতে নকলায় পৌঁছেন।

তার সাথে একই বাসের সামনের সিটে বসে আসা নাজমুল হাসান স্বর্ণ বলেন, আমি নিজ বাড়ি নকলায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টা ১৫ মিনিটে একটি নাইট কোচে উঠি। বাসটি টার্মিনাল থেকে বের হয়ে প্রধান সড়কে উঠার পরে আমি দৌড়ে গিয়ে গাড়িতে উঠি। গাড়ির লাইটগুলো নিভানো থাকায় চালকের সহকারী আমাকে নির্দিষ্ট আসনে বসিয়ে দেয়। আমি অন্ধকারে চোখ বন্ধ করে ঘুমোনোর চেষ্টা করছিলাম। এ সময় পরিচিত কণ্ঠে কেউ একজন চালকের কাছে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কার সাথে যেন কথা বলছেন। পরিচিত কণ্ঠ হওয়ায় আমি লোকটিকে খুঁজছিলাম। এমন সময় ওই লোকটি আমার পাশ দিয়ে তার সিটে যাওয়ার সময় অন্য গাড়ির হালকা আলোতে তাকে চিনে ফেললাম, সে আর কেউ নয়, সেইজন হলেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর গানম্যান রেজাউল করিম। আমার পরিচিত হওয়ায় তার হাত ধরতেই সে ইশারায় আমাকে বুঝিয়ে দিল আমার পেছনের সীটে সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী (মাননীয় এমপি) ও তার একান্ত সহকারী (পিএস) রয়েছেন। আমি তার হাত ছেড়ে দিলাম। গাড়ির সামনে সাইরেন বাজিয়ে চলছে পুলিশ প্রটোকলের গাড়ি।

গাজীপুরের জয়দেবপুর চৌরাস্তা পাড় হওয়ার পরেই যাত্রী উঠা-নামা করানোসহ চালক ও তার সহকারী তাদের স্বাভাবিকভাবে কাজ করেই চলেছে। ফলে অনেক সময় সামনে থাকা প্রটোকলের গাড়িটি তাল হারিয়ে ফেলছে। কোন এক সময় প্রটোকলের গাড়িটি সাইরেন বাজিয়ে তার গতিতে চলায় আমাদের গাড়িটি একটি গাড়ির পিছনে পড়ে যায়।

কিন্তু গাড়িতে থাকা সন্মানিত যাত্রী সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী মহোদয় সাধারণ যাত্রীর মতো চুপচাপ বসে আছেন গন্তেব্যে যাওয়ার জন্য। অবশেষে আমরা নকলায় এসে পৌঁছায়। কিন্তু পুলিশ প্রটোকলের গাড়ির দুই গাড়ির পিছনে আমাদের গাড়ি। সাইরেন শুনে প্রটোকলের গাড়ির পিছনের গাড়ি থেকে সম্মানিত ওই যাত্রীকে বরণ করতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা ওই গাড়িতে উঠে। কিন্তু তাকে না পেয়ে সবাই হতাশ! ঠিক এই মুহুর্তে আমাদের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

স্বর্ণ বলেন, আমি এই সব দেখছি আর ভাবছি। কতটুকু ধৈর্য্য থাকলে সাধারণ যাত্রীবাহী বাসে থাকা লোকের চেচামেচি সহ্য করা সম্ভব! এতেই প্রমাণ হয় যে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী শুধুই একজন নেতা নন। তিনি জাতির আদর্শও বটে। এমন আদর্শের নেতা সারাদেশ ব্যাপী তৈরী হলে, দেশ তড়তড় করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, এতে কারো কোন প্রকার সন্দেহ থাকার কথা নয়। এমন আদর্শবান দেশপ্রেমিক নেত্রীর দেশে বড়ই প্রয়োজন।

Bootstrap Image Preview