নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু গণতন্ত্রকে আলিঙ্গন করেছেন, গঠণমূলক বিষয়ে কথা বলেছেন, ন্যায়ের ব্যাপারে কঠোর ছিলেন, তিনি একজন আপোষহীন নেতা ছিলেন। জনগণকে সম্পৃক্ত করে বঙ্গবন্ধু রাজনীতি করেছেন।
তিনি আজ ঢাকায় বিআইডব্লিউটিএ ভবনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বিআইডব্লিউটিএ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব-উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন সচিব মোঃ আবদুস সামাদ, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দিন আহমেদ ভূইয়া, বিআইডব্লিউটিএ’র সদস্য গোলাম মোস্তফা, নুরুল আলম, দেলোয়ার হোসেন, পরিচালক আব্দুল আউয়াল ও সিবিএ নেতা আবুল হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ সনে পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভের পর পরই বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন যে, পাকিস্তানীদের সাথে থাকলে বাঙ্গালীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। তখন থেকেই তাঁর মধ্যে বাঙ্গালীর স্বাধিকারের আন্দোলন দানা বাঁধতে থাকে।
পাকিস্তানিরা এক বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে। ১৯৪৮ সনে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু একটি শিক্ষিত সমাজ প্রতিষ্ঠায় ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ৬৬-তে বঙ্গবন্ধু যখন ৬ দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেন, তখন আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই তাকে ছেড়ে চলে যায়। ৬৬ এর ৬ দফা এক দফা আন্দোলনে রুপ নিতে আড়াই বছর সময় লাগে। তখন ছাত্রলীগই সেই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীকার ও অধিকার আদায়ে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে ১৯৭০-এ নির্বাচনে একক নেতায় পরিণত হন। স্বাধীকার ও অধিকার আন্দোলনে থেকে বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সনে স্বাধীনতার আন্দোলনের দিকে ধাবিত হন। বঙ্গবন্ধু ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। তিনি গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ধীরে ধীরে স্বাধীনতার আন্দোলনের দিকে ধাবিত করেন- যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ছিল বলেই ৩০ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে এবং লক্ষ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা দু’টিই পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আস্থা ও বিশ্বাসের সংকট দেখা দেয়। সকল ক্ষেত্রে আস্থাহীনতা ও সমাজের প্রতিটি স্তরে দুর্নীতি জড়িয়ে পড়ে।
আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৮ বছর পরও প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশের মানুষের শান্তি ও সুখের জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যারা দেশের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন, জীবন দিয়েছেন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করবো। বাঙ্গালী বীরের জাতি। এ জাতিকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করতে পারি। আমরা যুদ্ধ করে, রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি। বিলাসিতা কোন জীবন নয়। ত্যাগের মাধ্যমেই দেশের উন্নয়ন করবো। দেশের উন্নয়নের কাজ করবো- তা না হলে আমরা ৩০ লাখ শহীদের কাছে অপরাধী হয়ে থাকবো। অপরাধি হয়ে আমরা কেউ মরতে চাইনা। প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসার প্রতিদান আমরা কাজের মাধ্যমে দিব। সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করবো।