স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাদকের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ভালো হওয়ার সুযোগ দেয়া হবে। তারা ভালো না হলে অবশ্যই পুলিশ তাদের নির্মূল কঠোর পদক্ষেপ নেবে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনের ক্ষেত্রে পুলিশ নজির স্থাপন করেছে।
রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার নাপিতের হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মাদকবিরোধী সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মাদকের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাদকের ব্যাপারে পুলিশ জিরো টলারেন্স ভূমিকা পালন করছে। পুলিশ বাহিনী এখন আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। এ জন্য বনদস্যু, জলদস্যুসহ বিভিন্ন নামে যে দুর্বৃত্তরা সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড করছে তাদেরকে অবশ্যই নির্মূল করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক জেলা হাসপাতালে মাদক সেবীদের সুস্থ করে তুলতে আলাদা বেড থাকবে। তাদেরকে সুস্থ করে তোলার ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে জনগণকেও তাদের ভালো করার জন্য ভূমিকা পালন করতে হবে। ফলে তাদের ছেলে-মেয়েরাও মাদকমুক্ত থাকবে।
গাইবান্ধা পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংসদের ডেপুটি স্পিকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া, সুন্দরগঞ্জের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী প্রমুখ।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুল মতিন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার আতা, গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ফুলছড়ি এলাকার ২০ জন মাদক ব্যবসায়ী ও ৫০ জন মাদকসেবী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৩ কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত ফুলছড়ি থানার তিনতলা নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন।
এ ছাড়া ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়ায় জনগণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটি ভবন নির্মাণের ভিত্তি স্থাপন করেন।
পরে বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গাইবান্ধার পুলিশ লাইন্স মাঠে পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া সভাপতিত্বে জেলার বার্ষিক পুলিশ সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।