অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশের অগ্রগতির পথে কোন শর্ত আরোপ করে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে। বরং অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহযোগী হিসাবে কাজ করবে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত হবে বলে আশা করেন তিনি।
সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি- UNDP’ এর আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পোসহ জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বিশ্বব্যাপী চলমান অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে ৭ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে এবং গত অর্থবছরে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে এবং চলতি অর্থবছরে ৮.১৩ শতাংশ হবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। আমরা স্বাস্থ্য, খাদ্য, শিক্ষাসহ প্রায় সকল খাতে অগ্রগতি অর্জন করেছি। ১০ বছর পূর্বের বাংলাদেশ আর বর্তমান বাংলাদেশ অনেক তফাত রয়েছে। বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে রূপান্তরিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্যও উত্তম জায়গা। বাংলাদেশ দিনে দিনে শুধু সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। অগ্রগতির সকল খাতে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, UNDP এর ২০১৭-২০২০ সালের মধ্যে প্রতিশ্রুত ১.২২ বিলিয়ন ডলার সরকার পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করছে। জাতিসংঘ বাংলাদেশের অগ্রগতির পথে কোন শর্ত আরোপ করে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত না করে বরং বাংলাদেশকে তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে জাতিসংঘ সহযোগী হিসাবে কাজ করবে বলে মন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন। তিনি আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত হবে বলে আশা করেন।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি- UNDP এর আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, নারীদের কর্মস্থান ও নারী ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেন এবং আগামীতে বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন। UNDP’ এর নতুন রোডম্যাপ ২০২১-২০২৫ মেয়াদী তৈরি করা হবে। বাংলাদেশের ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে জাতিসংঘ সহযোগিতা চালিয়ে যাবে বলে মিয়া সেপ্পো জানান।