Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ রবিবার, জুলাই ২০২৫ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

'বঙ্গবন্ধু সারাজীবন সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করেছেন'

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০১৯, ১১:০১ PM
আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৯, ১১:০১ PM

bdmorning Image Preview


তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করেছেন। দেশের আপামর জনসাধারণের কল্যাণে ও তাদের অধিকার নিশ্চিতকল্পে আমৃত্যু নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন।

তুরস্কের আঙ্কারায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০১৯ উদযাপিত হয়েছে।

১৭ মার্চ আঙ্কারাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস তুরস্কের রাজধানীতে অবস্থিত দুটি স্কুলে সপ্তাহব্যাপী চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এ বছরে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু ছিল “বাংলাদেশের স্মৃতিস্তম্ভ” এবং “বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী”।

আঙ্কারাস্থ ওর-হান ফেরীহান ইনান মাধ্যমিক স্কুল এবং ওয়েসিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে অধ্যয়নরত বিভিন্ন দেশের ২১৮ জন ছাত্র-ছাত্রী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে, যাদের বয়সভিত্তিক বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ১৪ মার্চ তারিখে ওর-হান ফেরীহান ইনান স্কুলে এবং ১৫ মার্চ ওয়েসিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত স্মারক ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট বিতরণ করেন।

রাষ্ট্রদূত উক্ত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান দুটিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের কথাসহ বাংলাদেশের অভ্যূদয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘটনাবহুল জীবনের বিবরণ তুলে ধরেন।

এছাড়া তিনি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলীর চিত্রও তুলে ধরেন। বিভিন্ন দেশের শিশুদের অংশগ্রহণে এধরনের অনুষ্ঠান একদিকে যেমন তাদের অন্য দেশ ও জাতি সম্পর্কে জানতে সহায়তা করে তেমনি ভিন্ন সমাজ ও সংস্কৃতি সহিষ্ণু হিসেবে গড়ে তুলতেও সাহায্য করে বলে রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্য উল্লেখ করেন। প্রত্যেক জাতিরই রয়েছে মহান জাতীয় ব্যক্তিত্ব, যারা মানবজাতির পথ প্রদর্শক; যাঁদের কর্মমুখর জীবন আমাদের এ পৃথিবীকে আরও শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধিশালী হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা যোগায় বলে রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন করা হয়।

এছাড়া, ১৭ মার্চ ২০১৯, সকালে দূতাবাসে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা পর্বের শুরুতে সকল কর্মর্কতা/কর্মচারী উপস্থিতিতে দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে এ দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্বের প্রতি আলোকপাত করে বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করেছেন এবং দেশের আপামর জনসাধারণের কল্যাণে ও তাদের অধিকার নিশ্চিতকল্পে আমৃত্যু নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন।

পরিশেষে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ সকলের জন্য মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

Bootstrap Image Preview