কৃষিমন্ত্রী আব্দুল রাজ্জাক বলেছেন, সার্বিকভাবে আমাদের অর্থনীতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তার জন্য দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সরকারী কর্মকতা কর্মচারীদের আরো জবাবদিহিতা বাড়াতে হবে।
আজ সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর ফার্মগ্রেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট সেমিনার হলে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার (২০১১-১৫) সমাপ্তি মূল্যায়ন প্রতিবেদন অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এতে সভাপতির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান দেশের দারিদ্র্য মোচনে শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো দারিদ্রতা কমানো ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার। যখন বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থা খুব একটা ভালো ছিলো না। আর দেশের রাজনৈতিক অবস্থাও খারাপ ছিলো। সে সময় আমরা ইশতেহার দিয়েছিলাম যা ১৭তে এসে বাস্তবায়ন চোখে পড়েছে।
জিডিপিতে কৃষির অবস্থান খারাপ নিয়ে তিনি বলেন, আমরা চাইলেই অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে পারি কিন্তু কৃষি উন্নতি হয় প্রকৃতিকভাবে। এটা চাইলেই বাড়ানো সম্ভব না। আমরা শুরু থেকেই কৃষিপণ্য রপ্তানির বিষয়ে বেশ গুরত্ব দিয়ে আসছি এবং অনেক ক্ষেত্রে হয়তো সফল হইনি।
তিনি বলেন, দেশে কারিগরিক শিক্ষাসহ শিক্ষা খাতকে গুরুত্ব দিলে ২৩ সালের মধ্যেই আমরা অনেকটা এগিয়ে যাবো।
বিশেষ অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ৮০ দশক থেকে প্রতিটা জিডিপি'র সমানভাবে বেড়েছে। উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একমাত্র এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পেরেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় আর পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় যদি মিলেমিশে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারে তাহলে অনেক কাজ সহজ হয়ে যাবে বলে জানান ড. ওয়াহিদউদ্দিন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে জিডিপির তুলনায় বৈদেশিক ঋণ কম। বেসরকারি খাতেও বিনিয়োগ বাড়েনি। এছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তি উৎপাদন, শিশু মৃত্যু, পুষ্টির মাত্রাসহ অনেক বিষয়ই আগের মতোই আছে জানিয়ে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।