স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামের জাতি রাষ্ট্রের জন্ম হতো না। আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে স্থান পেতাম কিনা সন্দেহ আছে।
আজ রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্বনেতাদের এক কাতারে দাড় করানো হলে আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সেই কাতারে রাখা হলে তিনি শ্রেষ্ঠ থাকতেন। তার কাছে বিশ্বনেতারা ম্লান হয়ে যেত।
সেমিনারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনায় দেশে যতটা না বাধা পাচ্ছেন তার চেয়ে বেশি বাধা পাচ্ছেন আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে। তবু তিনি পিছিয়ে পড়েননি। বিশেষ করে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে ছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় ১২১টি রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটিই প্রমাণ করে তিনি কত বড় মাপের ব্যক্তিত্বের অদিকারী ছিলেন।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে আমাদের যে স্থানে উন্নীত করেছিলেন তা বিশ্বের কোন রাষ্ট্রনায়কই পারবে না। তার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শহীদ সন্তান ডা. নুজহাত চৌধুরী বলেন, ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালের সেই কালো রাত্রিকে গণহত্যা রাত হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন।
ডিক্যাব সাধারণ সম্পাদক ডা. নূরুল ইসলাম হাসিব বলেন, বঙ্গবন্ধু পররাষ্ট্রনীতিতে শান্তি ও সমৃদ্ধি চেয়েছিলেন।
মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এ কে এম আতিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের ট্রাস্টি ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া। সঞ্চলনায় বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।