পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, নানাজন নানাভাবে প্রশ্ন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারত না আমেরিকানপন্থী ছিলেন? তিনি কোন পন্থীই ছিলেন না বরং তিনি ছিলেন জনগণপন্থী। বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর।
আজ রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি ছিল ভিন্ন ধরনের। সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে শত্রুতা নয়। আর এই মন্ত্রেই আমরা স্বাধীনতার অল্পদিনের মধ্যই বিশ্বের অধিকাংশ দেশের স্বীকৃতি পেয়েছিলাম স্বাধীন দেশ হিসেবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি জনগণকে বুঝতে পারতেন। তাই জনগণের কল্যাণে পরিকল্পনা হাতে নিতে সহজ হতো। আর তাই নিয়েছেন। তার মতো এত বড় মনের মানুষ খুব কম আছে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে চীন জাতিসংঘে ভেটো দেওয়ার প্রথম ক্ষমতা অর্জন করে। আর সেটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই প্রথম ব্যবহার করে। তবু বঙ্গবন্ধু চীনের সাথে ভালো ব্যবহার করে স্বীকৃতি আদায় করেছেন। মাত্র তিন মাসে ৭৬টি দেশ বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল তার কারিশমার কারণে।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, শহীদ সন্তান ডা. নুজহাত চৌধুরী ও ডিকাব সাধারণ সম্পাদক ডা. নূরুল ইসলাম হাসিব।
মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এ কে এম আতিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের ট্রাস্টি ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া। সঞ্চলনায় বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।