নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলায় ড. আব্দুস সামাদ নিহত হয়েছেন। তার ইচ্ছে ছিল গ্রামের বাড়ি নাগেশ্বরী উপজেলার মধুরহাইল্যায় বাবা জামাল উদ্দিন সরকারের কবরের পাশে শায়িত চিরনিদ্রায় হবেন। কিন্তু সেই আশা আর পূর্ণ হলো না।
সামাদের জন্য বাবার কবরের পাশে নির্দিষ্ট করে জায়গা রাখা হয়েছিল। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস এখন তার দাফন হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মুসলিমদের জন্য নির্ধারিত কবরস্থানে।
শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকায় বসবাসরত তার বড় ছেলে তোহান মোহাম্মদ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বাংলাদেশ সময় রাত প্রায় ৩টার দিকে তার বাবার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ জন্য সকাল ৮টায় পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডেকেছে তাদের। নিউজিল্যান্ডে বসবাসরত তার মা কেশোয়ারা সুলতানা ও ছোট দুই ভাই তারেক ও তানভিরের সঙ্গে বলে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন তিনি।
অপরদিকে শোকাহত ভাই মতিয়ার রহমান ও শামসুদ্দিনসহ পরিবারের সকলেই আশা করেছিলেন অন্তত ভাইয়ের লাশ এ দেশে এলে তারা শেষবারের মত দেখতে পারতেন। তারা চেয়েছিলেন ভাইয়ের ইচ্ছেমত বাবার কবরের পাশে তার দাফন হবে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চ শহরের হ্যাগলি পার্কমুখী সড়ক দীন এভিনিউতে ‘মসজিদে নুর’ ও ‘লিংউড’ মসজিদ দুইটিতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে অন্য বাংলাদেশিদের সঙ্গে নিহত হন নিউজিল্যান্ডে নাগরিকত্ব নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি তত্ব বিভাগের সাবেক শিক্ষক আব্দুস সামাদ।