নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আজকে আমরা যে অর্থনীতি নিয়ে কথা বলছি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আমরা ৯০ ভাগ অন্ধকার নয়, ৯০ ভাগ আলোতে থেকে বাকি ১০ ভাগ নিয়ে কথা বলতাম। এটা হলো বাস্তবতা।
একটি কথাই শুধু বলি ১৯৭৪ সালে তিনি বলেছিলেন, এই বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে।বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর কেউ কল্পনা করতে পারেনি, যখন আমরা দেখলাম তারা প্রধানমন্ত্রী হচ্ছে, অর্থনীতি তাদের হাতে ব্যবসা তাদের হাতে রাজনীতি তাদের হাতে, সমাজ তাদের হাতে তখন কেউ কল্পনা করেনি।
তবে এখন দেখেন আমরা এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পেরেছি এবং তা কার্যকরও করেছি। যারা বলেছিলো যে আমি শেখ মুজিবকে হত্যা করেছি, তাদেরও আমরা বিচার করেছি, এতবড় কঠিন কাজ আমরা করতে পেরেছি। সেই ৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের প্রমাণাদি সংগ্রহ করে আদালতের মাধ্যমে তা আমরা প্রমান করতে পেরেছি, এটা অসম্ভব কাজ।
আমরা মনে করি যে আমাদের মহান নেত্রী এবং সততার প্রতীক দেশরন্ত শেখ হাসিনা আজকে আমাদের এই রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং তিনি যে সংকল্প নিয়ে যে একাগ্রতা নিয়ে যে স্বপ্ন নিয়ে, যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে আজকে এ দেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় গ্রহণ করেছেন আমরা আশা করি শেখ হাসিনার এই স্বপ্ন আমরা আমাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করনতে পারবো।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে হোটেল সোনারগাঁও এর সুরমা হলে ‘ব্লু ইকোনমি এন্ড সাস্টেইনেবল ডেভেলাপমেন্ট গোল ১৪: বাংলাদেশ পাসপেক্টিভ’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা স্বাধীন একটি দেশ পেয়েছি শেখ মুজিবুর রহমানের মাধ্যমে এবং এটা আমরা একদম হঠাৎ করেই পাইনি, এর পেছেণে বিরাট একটা আত্মত্যাগের ইতিহাস আছে। তিনি দেশটিকে গড়ার প্রত্যয় নিয়ে যেভাবে যাত্র শুরু করেছিলেন বেঁচে থাকলে, তা অব্যাহত থাকতো, আমরা ৯০ ভাগ আলোতে থাকতাম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যয় বিশাল সমুদ্রে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা বিরাট ভুমিকা রেখেছে।
বঙ্গবন্ধুর যে ফাউন্ডেশনটা দেশকে দিয়েছেন এর জন্যই আমরা অনেক নিরাপদ আছি বলে তিনি আরো বলেন, আমাদের বিশাল এই বাংলাদেশকে সুরক্ষা করার জন্য সমুদ্র আইন, সিমানা আইনসহ সবকিছু আইন কিন্তু বঙ্গবন্ধুর করে দিয়েছে এবং এসব মাত্র সাড়ে তিন বছরে করেছেন তিনি। সবচেয়ে বড় কথা হলো কোন দেশ স্বাধীনতার কত বছরে শাসনতন্ত্র পেয়েছে জানিনা তবে বঙ্গবন্ধ মাত্র এক বছরেই মধ্যেই একটি দেশ কিভাবে পরিচালনরা হবে তার শাসনতন্ত্র দিয়ে গেছেন।
পাকিস্থান ৪৭ সালে হয়েছে কত বছর পরে তাদের শাসনতন্ত্র পেয়েছে আমরা তা কিন্ত জানি। কিন্ত বঙ্গবন্ধু যে ফাউন্ডেশনটা দিয়েছেন এর জন্যই আমরা অনেক নিরাপদ আছি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়ে গেছে তারা কিছুই পায়নি, স্বাধীন বাংলাদেশের বাতাস তারা পায়নি, নিঃসার্থভাবে তারা দেশের জন্য জীবন দিয়ে গেছে। আজকে বঙ্গবন্ধুর নাই, তিনি ১৯৭৪ সালে আমাদের এই সমুদ্র আইন তৈরি করে দিয়ে গেছেন। আজকে আমাদের সুযোগ আছে, আমরা যদি এই বিশাল জায়গাটা গড়ে তুলতে পারি তাহলে আমরা অন্ততপক্ষে এটুকু বলতে পারবো ৩০ লক্ষ মানুষ যে রক্ত দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন পুরণে তার জন্য বলতে পারবো তোমরা যে রক্ত দিয়েছো তার জন্য আমরা কিছুটা হলেও করতে পেরেছি, এই বিশাল সুনীল অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে কারণ আমাদের সেই সুযোগটা আছে।
‘আমরা ২০২৫ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ লক্ষে পৌছে যাবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আমি হতাস হয়েছিলাম কিন্ত পরক্ষনেই এটাকে সম্ভাবনা হিসেবে দেখলাম, আমরা পারি নাই এতদিনে যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার কারণে। আমাদের সম্ভাবনা আছে কারণ আমাদের এমন একজন নেতা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই সেক্টরে তার ভাবনা স্বপ্ন, কল্পনা, যেভাবেই বলি না কেন তার বাস্তবায়নের প্রবল আকাংখ্য রয়েছে। আমরা সকলেই একসঙ্গে আছি। ’
নৌ-প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এটা সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ, যে বাংলাদেশকে পৃথিবীতে একটা ব্যর্থরাষ্ট্র হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছিলো, তলাবিহিন বাসকেট বলা হয়েছিলো অনেক কিছুই বলা হয়েছিলো। আবার আমাদের এই দুর্বলতা দারিদ্রতা এগুলোকে পুজি করে, বিক্রি করে আমাদেরকে নিয়ে অনেকভাবে ব্যাবসা করা হয়েছিলো। আমরা যে বীরের জাতি আমরা রক্ত দিয়ে দেশটাকে অর্জন করেছি সেটা আমাদের কাম দিয়ে আমাদের মাথা উচু করতে পারি, তা আমরা কিন্ত প্রমান করতে পারি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধর যে বলেছিলেন এই বাংলাদেশ সোনার বাংলা হবে আমরা যদি বঙ্গবন্ধুর সেই সময়েন সময়ের কথাগুলো পার্ট পার্ট করে দেখি তিনি যা কিছু বলেছিলেন সবকিছই কিন্ত এ দেশে বাস্তবায়ন হচ্ছে এবং হয়েছে।