Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২১ সোমবার, জুলাই ২০২৫ | ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বড় বিপদে পড়তে যাচ্ছেন আমিরাতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ মার্চ ২০১৯, ১০:৩৩ AM
আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৯, ১০:৩৩ AM

bdmorning Image Preview


সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীকে বৈধ হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়ার পর স্থানীয় দূতাবাস ও কনস্যুলেটের অধীনে নতুন পাসপোর্ট সংগ্রহের তালিকায় নাম তুলেছেন প্রায় ৫০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি। আবুধাবিতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এ তথ্য জানিয়েছেন। 

এসব প্রবাসীর দ্বিতীয় ধাপ ছিল ছয় মাসের জব সিকার (কর্ম সন্ধানী) ভিসা সংগ্রহ করা। আইনি প্রক্রিয়ায় দ্বিতীয় ধাপটি সম্পন্ন করলেও সংখ্যায় কত লোক এ পর্যন্ত বৈধ হয়েছেন সেই হিসাব এখনও দূতাবাসের অজানা।

কিন্তু এর মধ্যেই অবৈধ অভিবাসীর সামনে আসছে বড় রকমের ধাক্কা। ছয় মাস মেয়াদি জব সিকার ভিসাপ্রাপ্তরা স্থায়ী ভিসার বন্দোবস্ত করতে না পারলে গুনতে হবে বড় অঙ্কের জরিমানা। এমনকি প্রশাসন গ্রেফতার করলে ওই শ্রমিক আজীবন নিষিদ্ধও হতে পারেন আমিরাতে।

এদিকে, সাধারণ ক্ষমার সুযোগে যেসব প্রবাসী ছয় মাসের জব সিকার ভিসা সংগ্রহ করেছেন, তাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজের সন্ধান করে বৈধতা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আমিরাত সরকার। 

দেশটির দ্য ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ (এফএআইসি) সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, জব সিকার ভিসা শুধুমাত্র কাজের সন্ধান করে বৈধতার জন্য দেওয়া হয়েছে। এই ভিসা দিয়ে কাজ করা যাবে না। জব সিকার ভিসা সংগ্রহকারীদের কেউ যদি বৈধ ভিসা না নিয়ে কাজ করেন এবং প্রশাসনের হাতে গ্রেফতার হন, তবে তার জন্য অপেক্ষা করছে কঠিনতম শাস্তি।

জব সিকার ভিসার আওতাধীন থেকে কর্মরত কোনো শ্রমিক প্রথমবার ধরা পড়লে জরিমানা হিসেবে দিতে হবে বাংলাদেশি অর্থে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা এবং দ্বিতীয়বার ধরা পড়লে দিতে হবে প্রায় ২৩ লাখ টাকা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে নতুন কাজের সন্ধান করতে না পারলে অবৈধদের অবশ্যই দেশে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা।

জব সিকার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান তারা। নির্ধারিত সময় শেষ হলে বৈধতা না পাওয়া জব সিকার ভিসাধারীদের সবাই ফের অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত হবেন। গত বছর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে অবৈধ অভিবাসীকে বৈধ হওয়ার সুযোগ দেয় আমিরাত সরকার।

Bootstrap Image Preview