কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে তার জন্য ভোট চাইলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তালাচাবি কর্মকার ইলিয়াস সরদার। সম্প্রতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে হতদরিদ্র ইলিয়াস সরদারকে একটি বাড়ি করে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে একাধিক পত্র-পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করে। অশ্রুসিক্ত নয়নে ইলিয়াস মিয়ার এ কৃতজ্ঞতা তার আশ্রয় গড়ে দেয়ার সে নিমিত্তে।
ইলিয়াস মিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ তালাচাবির মেকানিক হিসেবে কাজ করছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হতদরিদ্র ইলিয়াস মোল্লার বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল এলাকায়। জীবিকার সন্ধানে প্রায় ১৫ বছর আগে তিনি বাড়িঘর ছেড়ে ঢাকায় পাড়ি জমান। প্রথমদিকে নিয়মিত শ্রমিকের কাজ করলেও পরে স্থায়ীভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে তালাচাবি মেরামতের কাজ শুরু করেন।
কিন্তু ভ্রাম্যমাণ এ পেশায় কোন মতে দিন গোঁজার ছাড়া ছেলে মেয়েসহ বেঁচে থাকা যায় না। শারীরিক নানা সমস্যার কারণে অন্য কোন ভারি পেশায় যোগদান করাও তার পক্ষে সম্ভব না। এমতাবস্থায় তিন সন্তান বাবা মা সমেত একটি ভাঙা ঘরে বসবাস করে আসছেন তিনি।
তার এই দুর্দশার কথা শুনেই মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত গোলাম রাব্বানী মর্মাহত হন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ইলিয়াস সরদারকে একটি বাড়ি করে দেয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নেবার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি শেখ স্বাধীন মোঃ শাহেদকে। বিশ্ব ভালবাসা দিবসে ছাত্রলীগের সেদিনের আশ্বাসেরই বাস্তবায়ন শুরু হয়। ভালবাসা দিবসে ভালবাসার এক অনন্য নজীর স্থাপন করে এ ছাত্র সংগঠনটি।
জানতে চাইলে ইলিয়াস মিয়া জানান, 'রাব্বানী মামাসহ সাথে যারা আছে আমি সবার জন্য দোয়া করি। আল্লাহ তাদের ভালাই করুক। সেই লগে আপনেগের সবাইরে কই, রাব্বানী মামারে ভোট দেন। দেখবেন আমার মত আপনেগের সবাইরে ভালা রাকপি উনি।'
ইলিয়াস মিয়া তার পরিকল্পনার কথা জানান। তিনি বলেন 'আমি এই ইনভার্সিটিতে ১৫ বছর ধইরা আছি। আমি সব রুমে রুমে যামু। সব ছাত্রগের কমু যে আইজকে আমার যে ঘর কইরা দেবার পারে সে আপনেগের ভালা না কইরা পারে না। তাই আপনেরা রাব্বানী মামারে ভোট দেন।'
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে জিএস পদে সম্মিলিত শিক্ষার্থী পরিষদের ব্যানারে নির্বাচন করছেন।